সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরে হজ কোটা বাড়াল নরেন্দ্র মোদি সরকারের সংখ্যালঘু মন্ত্রক। শেষবার ২০১৪ সালে যখন মোদি ক্ষমতায় আসেন তখন হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১,৩৬,০২০। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১,৭৫,০২৫। মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়া পোস্টে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে। যদিও প্রশ্ন উঠছে, কোটা বাড়িয়ে আদৌ লাভ হবে কিনা! যেহেতু ভারত-সহ ১৪টি দেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি বেঁকে বসেছে সৌদি আরব। তবে এই বিষয়ে দিল্লির সঙ্গে 'বন্ধু' সৌদি আরবের কথা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

সংখ্যালঘু মন্ত্রক জানিয়েছে, সৌদি নির্দেশিকা মেনে তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি- বিমান, সড়ক পরিবহন, মিনা ক্যাম্প, থাকার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লেখা হয়েছে, "ভারত সরকার ভারতীয় মুসলমানদের হজযাত্রা সহজ করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সরকারি স্তরে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে ভারতের হজ কোটা ২০১৪ সালে ১৩৬,০২০ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ১৭৫,০২৫ হয়েছে।"
মন্ত্রকের পোস্টে আরও বলা হয়েছে, "ভারতের হজ কমিটির মাধ্যমে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় চলতি বছরে মূল কোটার আওতায় ১,২২,৫১৮ জন হজযাত্রীর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করছে। সৌদি নির্দেশিকা অনুসারে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি - বিমান, পরিবহন, মিনা ক্যাম্প, থাকার ব্যবস্থা এবং অন্য পরিষেবা সম্পন্ন করা হয়েছে।" যদিও প্রশ্ন উঠছিল, ভারতীয়দের হজ কোটা ৮০ শতাংশ কমানোর সৌদি নির্দেশিকার পর মন্ত্রক কোটা বাড়ালেও লাভ হবে কিনা। সৌদির ঘোষণার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা মন্তব্য করেছিলেন, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে ৫২ হাজারের বেশি ভারতীয় মুসলমানের হজযাত্রা অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়ল।
সংখ্যালঘু মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে আরও ১০ হাজার তীর্থযাত্রীর জন্য নিজেদের পোর্টাল খুলে দিয়েছে সৌদি আরব প্রশাসন। তাঁদের জন্য দ্রুত যাবতীয় পরিষেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে মোদি সরকারের তরফে। উল্লেখ্য, চলতি বছরে ৪ জুন থেকে ৯ জুন পর্যন্ত হজ যাত্রার সম্ভাবনা।