সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীর 'অত্যাচারে' আত্মহত্যা করেন বেঙ্গুলুরুর যুবক অতুল সুভাষ। তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই বিতর্কের মধ্যেই খোরপোশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার থেকে নির্দিষ্ট ৮টি বিষয় বিবেচনা করে তবেই খোরপোশ নির্ধারিত করা হবে। জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। সেই ৮টি বিষয় কী কী?
সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর একটি আবাসন থেকে অতুলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে উদ্ধার হয় ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট। যেখানে স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, শাশুড়ি নিশা সিংহানিয়া, শ্যালক অনুরাগ-সহ স্ত্রীর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন যুবক। প্রতিটি পাতায় লেখা, “বিচার এখনও বাকি!” মৃত্যুর আগে ৮০ মিনিটের একটি ভিডিও রেকর্ড করেন অতুল। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বিচার না মেলা পর্যন্ত তোমরা যেন আমার অস্থি বিসর্জন কোরো না!’’
জানা গিয়েছে, স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যরা অতুলের বিরুদ্ধে একাধিক 'মিথ্যে' অভিযোগ করেছিলেন। এরপর পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলার রায় যুবকের বিপক্ষেই গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই চাপের মুখেই আত্মহননের পথ বেছে নেন যুবক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গোটা দেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে ৪৯৮এ ধারার অপব্যবহার এবং খোরপোশের অধিকার নিয়ে। জানা গিয়েছে, যদিও অতুলের স্ত্রী বড় চাকরি করেন, তথাপি মিথ্যে মামলার জেরে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা খোরপোশ দিতে হত। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানাল 'অষ্টাঙ্গ বিচারে'ই মিলবে খোরপোশ। কী কী সেই ৮ বিষয়?
১) বিবেচনা করা হবে স্ত্রী-স্বামীর আর্থিক এবং সামাজিক অবস্থা।
২) স্ত্রী ও সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য জরুরি চাহিদা কী ও কতটা।
৩) বিবেচনায় থাকবে উভয়পক্ষের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পেশা।
৪) দেখা হবে উভয়পক্ষের আয় এবং সম্পত্তির পরিমাণ।
৫) বিবেচনা করা হবে শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন স্ত্রীর জীবনযাত্রার মান।
৬) পরিবারের দেখভালের জন্য চাকরি ছেড়েছেন কি স্ত্রী?
৭) আইনি লড়াইয়ের জন্য বেকার স্ত্রীর অর্থের প্রয়োজন কতটা।
৮) খোরপোশ দেওয়ার ফলে স্বামীর আর্থিক অবস্থা কেমন দাঁড়াবে। তাঁর উপার্জন এবং ভরণপোষণ-সহ অন্যান্য দায়িত্বও বিবেচনা করা হবে।