সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলাকে খুনের মামলায় জেল খাটছিলেন প্রৌঢ়। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি হন তিনি। পুরনো শত্রুতার ঘটনায় এবার ওই মহিলার স্বামী এবং শাশুড়িকেও হত্যা করলেন অভিযুক্ত প্রৌঢ়। কেরলের পলক্কড় জেলায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশকে দুষছে স্থানীয়রা। কেন?
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা পলক্কড় জেলার নেনমারা অঞ্চলের একটি গ্রামের। ৫৮ বছরের অভিযুক্ত প্রৌঢ়ের নাম চেন্থামারা। ২০১৯ সালে গৃহবধূ সাজিতাকে হত্যার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার কিছুদিন আগে চেন্থামারাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। গ্রামের ওঝা নিদান দেয়, লম্বা চুলের এক মহিলাই এই বিচ্ছেদের জন্য় দায়ী। এরপরই প্রতিবেশী সুধাকরণের লম্বা চুলের স্ত্রী সাজিতাকে খুন করেছিলেন চেন্থামারা।
সুধাকরণের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলায় জেল খাটছিলেন অভিযুক্ত। সম্প্রতি জামিনে জেলমুক্ত হন তিনি। আদালত শর্ত দিয়েছিল নেনমারা পঞ্চায়েত এলাকায় অভিযুক্ত ঢুকতে পারবেন না। যদিও সেই শর্ত লঙ্ঘন করে কিছুদিন আগেই গ্রামে ঢুকে সুধাকরণকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল চেন্থামারা। যার পরে ২৯ ডিসেম্বর পুলিশে অভিযোগ জানান সুধাকরণ। যদিও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি আইনরক্ষকরা।
মঙ্গলবার ৫০ বছরের সুধাকরণ এবং ৭২ বছরের লক্ষ্মীকে হত্যা করেন চেন্থামারা। সুধাকরণের বাড়ির সামনেই এই হত্যাকাণ্ড চলে। যার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তাদের বক্তব্য, পুলিশের গাফিলতির কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে গেল। জোড়া খুনের পরে অবশ্য টনক নড়েছে প্রশাসনের। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চেন্থামারাকে।