সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও নিয়ন্ত্রণরেখা বেরিয়ে পাকিস্তানে পালায়নি পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী জঙ্গিরা। বহাল তবিয়তে দক্ষিণ কাশ্মীরেই লুকিয়ে রয়েছে তারা। এমনটাই দাবি তদন্তকারী সংস্থা NIA সূত্রের। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পহেলগাঁও হামলার পর এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। অথচ এখনও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার বা নিকেশ করা যায়নি। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ২২ এপ্রিল দুপুরে বৈসরণ ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন। তার মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি। বাকি দুজন কাশ্মীরের বাসিন্দা। চারজনের স্কেচও প্রকাশ হয়েছে। এদের পথপ্রদর্শক হিসাবে আদিল কঠোর নামের এক জঙ্গির নামও প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এর বাইরে আর কারা যুক্ত সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনআইএ সূত্রের দাবি, হামলাকারী ওই জঙ্গিরা এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলঘেরা এলাকায় লুকিয়ে। শুধু হামলাকারীরা নয়, আরও বহু জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে। তবে মূল হামলাকারীদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে তারা। মূলত হামলাকারীদের কভার ফায়ার দেওয়ার জন্য এলাকায় অন্য জঙ্গিরা লুকিয়ে। আর মূল হামলাকারীরা দুর্গম জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার জন্য নিজেদের মতো রসদও সঙ্গে রেখেছে। বেঁচে থাকার জন্য অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে হচ্ছে না তাদের। আপাতত তারা আত্মনির্ভর।
এদিকে এই হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এখনও হামলাকারী জঙ্গিরা ধরা পড়েনি। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারণা ছিল, জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের 'নিরাপদ' আশ্রয়ে লুকিয়ে পড়েছে। কিন্তু এনআইএর সূত্র বলছে, এখনও কাশ্মীর ছাড়েনি জঙ্গিরা। বস্তুত পহেলগাঁও হামলার পর একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কীভাবে হামলা, কোন পথে পালাল জঙ্গিরা? কোন গোপন অ্যাপের মাধ্যমে সংকেত আদানপ্রদান, স্থানীয় কেউ যুক্ত ছিল কিনা? এতবড় ঘটনা সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে, সবটাই খতিয়ে দেখছে এনআইএ। তবে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বের করাটাই প্রথম লক্ষ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের।
