shono
Advertisement

খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদির উপর হামলার ছক ছিল PFI-এর, বিস্ফোরক দাবি ইডির

মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটির বিরুদ্ধে অপারেশন অক্টোপাস শুরু করেছে কেন্দ্র।
Posted: 01:25 PM Sep 24, 2022Updated: 07:55 PM Sep 24, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপর হামলার ছক ছিল মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র। সংগঠনটির এক কর্মীর জবানবন্দির ভিত্তিতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি (ED)। ইসলামিক সংগঠনটি নাকি চলতি বছর ১২ জুলাই বিহারে মোদির জনসভায় হামলার ছক কষছিল। শফিক পায়েত নামের এক পিএফআই কর্মীই নাকি ইডির কাছে এই তথ্য ফাঁস করেছে। এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কর্ণাটক-সহ (Karnataka) দেশের অন্তত ১০টি রাজ্যে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনএআইএ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জঙ্গিদের অর্থ জোগানো-সহ একাধিক অভিযোগে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র (পিএফএআই) ১০০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। এই অভিযানের নামে দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অক্টোপাস’। অপারেশন অক্টোপাস চলাকালীনই কেরল থেকে গ্রেপ্তার হয় PFI কর্মী শফিক পায়েত। সেই ইডিকে জানিয়েছে, চলতি বছর ১২ জুলাই মোদির পাটনার সভায় তাঁর উপর হামলার ছক ছিল মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটির। সেজন্য তাদের আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এই লক্ষ্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি সংগ্রহ করেছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া।

[আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ইডির নজরে থাকা অধিকাংশ নেতাই বিজেপি-বিরোধী, তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন]

পিএফআইয়ের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই সংগঠনের মাধ্যমে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি জঙ্গি নিয়োগ করে বলে অভিযোগ উঠছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) সেই অভিযোগেও সিলমোহর দিল। এনআইএ জানিয়েছে, এই পিএফআইয়ের মাধ্যমেই ভারতে জঙ্গি রিক্রুট করত আইসিস, জইশ, আল-কায়দা, লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। এই মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা সংখ্যালঘু যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে শামিল হতে উৎসাহ দিত।

[আরও পড়ুন: যৌনতার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবতীকে ‘খুন’! গ্রেপ্তার উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতার ছেলে]

এদিকে এই মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি। এ বিষয়ে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, “গোটা দেশে পিএফআই ও এসডিপিআই-কে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্ণাটক ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সংগঠনটির। এদের কুকীর্তির কথা সবাই জানে। কোন জায়গা থেকে তাদের কাছে এতো টাকা আসছে। কারা রয়েছে এই সংগঠনের নেপথ্যে। সেসব জানতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement