shono
Advertisement

PM Cares Fund সেবামূলক তহবিল, RTI প্রযোজ্য নয়, ফের দিল্লি হাই কোর্টকে জানাল কেন্দ্র

তহবিলের টাকা নয়ছয় নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
Posted: 10:40 AM Feb 01, 2023Updated: 10:41 AM Feb 01, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিএম কেয়ার ফান্ড (PM Cares Fund) সরকারি তহবিল নয়, বরং একটি সেবামূলক তহবিল। ফলে তথ্যের অধিকার আইন (RTI) এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ফের দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র। উল্লেখ্য, পিএম কেয়ার ফান্ডের অর্থ নয়ছয় নিয়ে যতবার অভিযোগ উঠেছে তথা মামলা গড়িয়েছে আদালতে, ততবার একই ধরনের জবাবদিহি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

Advertisement

করোনা আবহে ২০২০ সালের মার্চ মাসে পিএম কেয়ার তহবিল গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই তহবিল তৈরি করা হচ্ছে। তহবিলের অর্থে বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করা হবে। এর পর গোটা দেশের মানুষ পিএম কেয়ার ফান্ডে সাধ্য মতো সাহায্য শুরু করেন। দিনে দিনে বিপুল অঙ্কের অর্থ জমা পড়ে বলে জানা যায়। কিন্তু প্রথম থেকে বিতর্কও শুরু হয়।

[আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৩ LIVE UPDATES: বাজেটের আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ অর্থমন্ত্রীর]

পিএম কেয়ার ফান্ডে জমা পড়া টাকা কোথা থেকে আসছে এবং তা কোথায়, কীভাবে খরচ করা হচ্ছে, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে। এমনকী অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে জবরদস্তি পিএম কেয়ারে দেওয়ার জন্য টাকা কাটা হচ্ছে। গোটা বিষয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সরব হয়। এমনকী আদালত অবধি গড়ায় বিষয়টি। তথ্যের অধিকার আইনে আওতায় পিএম কেয়ারের জমা-খরচের হিসেব চেয়ে একাধিক মামলা হয়। 

[আরও পড়ুন: বর্বরতার চরম বেঙ্গালুরুতে, প্রেমিকার ৩ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন, গ্রেপ্তার যুবক]

যদিও প্রথম থেকেই পিএম কেয়ার ফান্ডের নিয়ে উত্তর দিতে নারাজ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। পিএমও-র বক্তব্য, আইন মোতবেক পিএম কেয়ার্সের তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টে পেশ করা হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, “এটি সরকারি তহবিল নয়। এমনকী সরকার নিয়ন্ত্রিত তহবিলও নয়। এর কার্যপ্রণালীতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় সরকার বা কোনও রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। এতএব, জবাবদিহির প্রয়োজন নেই।” পাশাপাশি পিএমও জানিয়েছে, স্বচ্ছতার সঙ্গে পিএম কেয়ারের টাকা খরচ করা হয়। নিয়মিত অডিটও হয় ফান্ডের। অডিটের দায়িত্বে রয়েছেন একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement