সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী মাসে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতেই তিনি সেদেশে যাচ্ছেন। কিন্তু এরই পাশাপাশি পরিকল্পনা রয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। এমনই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
মাত্র কয়েকদিন আগেই রুশ তেল আমদানির শাস্তি হিসাবে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। জানিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্য নিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনও আলোচনা হবে না। যতদিন না শুল্ক নিয়ে সমস্যার সমাধান হয় ততদিন আলোচনার পক্ষপাতী নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যৎও এখন বিশ বাঁও জলে। এহেন পরিস্থিতিতে 'বন্ধু' ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠকে কি বরফ গলবে? আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
জানা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নিউ ইয়র্কে ভিড় জমাবেন রাষ্ট্রনেতারা। সেখানে ট্রাম্প ছাড়াও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি-সহ অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে মোদির। তবে নিঃসন্দেহে অন্য বৈঠকগুলির চেয়ে এই মুহূর্তে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠকই যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ তৈরি করবে তা বলাই বাহুল্য। এর আগে বছরের শুরুতে মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেই সময় ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছিল। সাত মাসের মধ্যে ফের হোয়াইট হাউসে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক অবশ্য আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দফায় মোদির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব দেখেছিল গোটা বিশ্ব। কিন্তু মসনদে প্রত্যাবর্তন ঘটানোর পর এবার যেন বড় বেশি খামখেয়ালি ট্রাম্প। যার প্রভাব পড়েছে মোদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কেও। যদিও সম্প্রতিও তাঁকে বারবার মোদিকে 'বন্ধু' সম্বোধন করেছেন, কিন্তু যেভাবে শুল্ক চাপানো হয়েছে নয়াদিল্লির উপরে তাতে বন্ধুত্বের লক্ষণ যে দৃশ্যমান হয়নি তা বলাই যায়। এমতাবস্থায় সামনাসামনি তাঁদের মধ্যে কী কথা হয় সেদিকেও সকলের চোখ থাকবে। তবে তার আগে ১৫ আগস্ট পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকের দিকেও নজর থাকবে ভারতের।
