সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে আদানি, মণিপুর, বাংলাদেশ ইস্যুতে হট্টগোল। এক দেশ-এক ভোট বিল নিয়ে বিতর্ক। নতুন সংযোজন অমিত শাহের আম্বেদকর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য। সব মিলিয়ে শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে তপ্ত পরিস্থিতি। এরই মধ্যে এক ছাদের তলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন রাহুল এবং খাড়গে। আসলে নিয়ম অনুযায়ী, দেশের অধিকাংশ বড় স্বশাসিত সংস্থার শীর্ষ পদে নিয়োগের জন্য যে কমিটি তৈরি হয়েছে, সেই কমিটিতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা বা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতারাও থাকেন। মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান পদে নিয়োগের জন্য বৈঠকে বসেছেন মোদি। লোকসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ার দরুন প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। মল্লিকার্জুন খাড়গে ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ওই বৈঠকে রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অরুণ কুমার মিশ্রর মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপর থেকে কমিশনের সদস্য বিজয়া ভারতী ওই পদে অস্থায়ীভাবে রয়েছেন। এবার নতুন করে স্থায়ী চেয়ারপার্সন নিয়োগের জন্য বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার, লোকসভা এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতারা। এই বৈঠক পুরোপুরি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন নিয়োগের জন্য। কমিশনের অন্য সদস্যও বেছে নেবে ওই কমিটি। বুধবারের বৈঠকে মূলত ওই সংক্রান্তই আলোচনা হওয়ার কথা। কোনওভাবেই রাজনীতির প্রসঙ্গ আসার কথা নয়।