সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে (Ukraine) আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যে জোরকদমে চলছে ‘অপারেশন গঙ্গা’। ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে ভারতীয়দের নিয়ে ফিরেছে বেশ কয়েকটি বিশেষ বিমান। এহেন পরিস্থিতিতে স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্ধারকাজে মদত দেওয়ার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন নমো।
[আরও পড়ুন: এখনই থামছে না যুদ্ধ! রাশিয়া-ইউক্রেনের ৫ ঘণ্টার বৈঠক নিষ্ফলাই]
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার স্লোভাক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড হেগের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে নয়াদিল্লির পাশে থাকার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান নমো। আগামী দিনেও স্লোভাকিয়া এভাবেই ভারতীয়দের উদ্ধারে মদত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোদি। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড হেগের সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেন হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোদি। সেই সঙ্গে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি এবং হিংসার ঘটনায় তিনি যে ব্যথিত তাও জানিয়ে দিয়েছেন নমো। একটি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করতে হবে বলেও মতপ্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে, স্লোভাকিয়ায় উদ্ধারকাজ চালাতে কিরেন রিজিজুকে বিশেষ দূত হিসেবে পাঠানো হয়েছে। সে কথা হেগেরকে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ‘অপারেশন গঙ্গা’ শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত দেশে ফিরেছে আটটি বিশেষ বিমান। ফিরিয়ে আনা হয়েছে দেড় হাজার ভারতীয় নাগরিককে। বলে রাখা ভাল, রোমানিয়া ও হাঙ্গেরি থেকে বিমানে কয়েক হাজার ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আরও ১ হাজার নাগরিককে ইউক্রেন থেকে সড়কপথে বের করে আনা হয়েছে। যেহেতু ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ তাই পড়শি রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া হয়ে ভারতীয়দের ফেরানোর কাজ চলছে। এদিন নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়ানোর জন্য রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোলাই লোনেল সুসাকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবং সেদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বিশেষ দূত হিসেবে পাঠানোর কথা জানান তিনি।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine) থেকে দেশে ফিরতে মরিয়া ভারতীয়রা। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও লড়াইয়ের মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া সীমান্তের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বহু ভারতীয়। অভিযোগ, ইউক্রেনীয়দের সহজেই সীমান্ত পেরতে দেওয়া হলেও বেছে বেছে ভারতীয়দেরই আটকে দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। এহেন পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক চেষ্টা আরও বাড়িয়ে তুলেছে নয়াদিল্লি।