সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কদিন আগেই নবরাত্রির সময় তেজস্বী যাদবের মাছ খাওয়া বিতর্ক ঘনিয়েছিল। এবার সেই বিতর্কে অবতীর্ণ হলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। কেবল তেজস্বী নয়, তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সকলকে খোঁচা মেরে মোদির দাবি, কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারা দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শুরু হয়েছে নবরাত্রি। এই সময় দশদিন ধরে নিরামিষ খাওয়াই রীতি বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বীর। আর সেই সময়ই তেজস্বীকে (Tejashwi Yadav) দেখা গিয়েছিল মাছ খাওয়ার ভিডিও আপলোড করতে। যদিও পরে আরজেডি নেতা জানিয়েছিলেন তিনি যে মাছ খাওয়ার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তা নবরাত্রি শুরু হওয়ার আগের দিনের। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমরা ওই ভিডিও আপলোড করেছিলাম বিজেপি ও গোদি মিডিয়ার আইকিউ পরীক্ষা করতে।”
[আরও পড়ুন: রাজনীতিতেও কঙ্গনার প্রতিপক্ষ ‘নেপো কিড’! ‘বাপ-ঠাকুরদার সম্পত্তি নাকি?’ ফুঁসছেন পদ্মপ্রার্থী]
সেই প্রসঙ্গেই এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে এক জনসভায় মোদি (PM Modi) বলেন, ''কংগ্রেস (Congress) ও ইন্ডিয়া জোটের অন্য সদস্যদের কারওই দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের আবেগ নিয়ে কিছু যায় আসে না। শ্রাবণ মাসে ওঁরা এক দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে পাঁঠার মাংস রান্না করে খেয়েছিলেন। কেবল খাননি, তা ভিডিও করে পোস্টও করেছিলেন দেশের মানুষকে ব্যাঙ্গ করার জন্য। আইন কাউকে কিছু করা থেকে আটকায় না। মোদিও না। কিন্তু ওঁদের উদ্দেশ্যটাই আলাদা। যখন মুঘলরা এদেশে আক্রমণ করেছিল, কেবল রাজাদের পরাস্ত করেই তারা সন্তুষ্ট হয়নি। যতক্ষণ না মন্দির ধ্বংস করছে... একই ভাবে শ্রাবণ মাসে ওই ধরনের ভিডিও পোস্ট করে বিরোধীরা মুঘলদের মতো মানসিকতাই প্রকাশ করছে।''
এরই পাশাপাশি তেজস্বী যাদবকে সরাসরি আক্রমণও করতে দেখা যায় মোদিকে। তিনি বলেন, ''আপনি কে মানুষের আবেগকে আহত করার? আমি জানি এর পর আমাকেও আক্রমণ করা হবে। কিন্তু একটা গণতন্ত্রে এটা আমার দায়িত্ব কোনটা ঠিক তা মানুষকে বলা। আমি আমার কর্তব্য করছি।''