shono
Advertisement

Breaking News

‘হর ঘর টিকা, ঘর-ঘর টিকা’, কোভিড টিকাকরণ জোরদার করতে নয়া মন্ত্র প্রধানমন্ত্রীর

বাড়ি-বাড়ি গিয়ে দেওয়া হবে করোনার টিকা।
Posted: 03:11 PM Nov 03, 2021Updated: 03:26 PM Nov 03, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০০ কোটি টিকাকরণের চ্যালেঞ্জ জিতে গিয়েছে দেশ। এবার সকলকে করোনা টিকার (COVID-19) দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছে কেন্দ্র। বুধবার দেশের ৪০টি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সেই বৈঠকেই দ্বিতীয় ডোজের গুরুত্বের নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি, এবার থেকে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। সেই কর্মসূচির সূচনাও হয় এদিন।

Advertisement

মারণ ভাইরাস করোনাকে রুখতে টিকাকরণই (Vaccination) মূল হাতিয়ার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১০৭ কোটি ২৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩১৫ ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৪১ লক্ষের বেশি। দেশের বেশকিছু জেলা টিকাকরণে অনেকটা পিছিয়ে। সেই খামতি দূর করতেই এবার সেই সব জেলায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন:  পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! শ্রীনগর-শারজা বিমান চলাচলে ফের বাধা ইমরান সরকারের]

এদিন ‘হর ঘর দস্তক’ অভিযানের উদ্বোধন হল। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “যেখানে যেখানে মানুষ এখনও টিকার দ্বিতীয় ডোজ পায়নি, তাঁদের বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যেতে হবে। এতদিন টিকাকেন্দ্রে এসে মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের টিকা দিতে হবে।”

 

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “যখনই সংক্রমণ কমতে শুরু করে, তখনই গা ছাড়া মনোভাব তৈরি হয়। এবার আর সেটা করলে চলবে না। যত দ্রুত সম্ভব সকলকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে।” এদিনের বৈঠকে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জের কথা স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে এখনও অনেকের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনেকে আবার গুজবের শিকার বলেও মনে করছেন মোদি। এই ধারণা ভাঙতে স্থানীয় ধর্মগুরুদের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “গুজব এড়াতে স্থানীয় ধর্মগুরুদের সাহায্য নিন। তাঁদের দিয়ে ভিডিও, অডিও ক্লিপ তৈরি করে প্রচার করুন।”

 

[আরও পড়ুন:  ‘সংবেদনহীন’, দিওয়ালির আগে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে বিঁধলেন রাহুল]

দেশের প্রতিটি গ্রাম, শহরের জন্য আলাদা-আলাদা নীতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এক-একটি শহর, গ্রামের জন্য ২৫ জনের একটি দল তৈরি করুন। প্রয়োজনে এনসিসি এবং এনএসএসের সাহায্য নিন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement