সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে অটো-অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হল পুলিশকে। মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) ভোপালের এক অটো চালক তাঁর অটোকে অ্যাম্বুল্যান্সে পরিবর্তন করেন। তবে জরুরি পরিষেবা দেওয়ার কোনও অনুমতি না থাকায় শনিবার পুলিশ অটোচালক জাভেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু শেষে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশ কার্যত বিধ্বস্ত। প্রশাসন সব জায়গায় পরিষেবা দিতে পারছে না। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ যে যেমন ভাবে পারছেন, কঠিন পরিস্থিতিতে অন্যের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে জাভেদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মাদ্রাজ হাই কোর্টের ‘খুনের মামলা’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশন]
সংক্রমণ ঠেকাতে মধ্যপ্রদেশে ১৪৪ জারি করা হয়েছে। করোনা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে রাস্তায় আলাদা লেন তৈরি করা হয়। সেখান দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শনিবার জাভেদ ওই রকমই একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের মুখে পড়েন। পুলিশকে তিনি জানান, অটোকে অ্যাম্বুল্যান্সে পরিণত করে রোগী নিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য তিনি কোনও টাকা নিচ্ছেন না। কিন্তু সেই পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে কোনও অনুমতিপত্র ছিল না বলে অভিযোগ দায়ের হয়।
[আরও পড়ুন: চোখের সামনে মৃত্যুমিছিল, অবসাদে আত্মঘাতী দিল্লির কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক]
জাভেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা। তার পরই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগ তুলে নেওয়া হয় এবং জাভেদকে একটি বিশেষ অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি তাঁর অটো-অ্যাম্বুল্যান্সে রোগী নিয়ে যেতে পারে। জাভেদ জানিয়েছেন, স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে তিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যানিটাইজার, পিপিই এবং কিছু ওষুধ কিনেছেন তাঁর অ্যাম্বুল্যান্সে।