হেমন্ত মৈথিল: মহাকুম্ভকে রাজকীয়ভাবে সাজিয়ে তুলতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে ভারতীয় রেল। যোগী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ভারতীয় রেলের তরফে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্টেশনগুলিও। ভারতীয় রেলের উদ্যোগে 'পেইন্ট মাই সিটি' নামক প্রচারের মাধ্যমে প্রয়াগরাজের সব স্টেশনগুলিতে লাগবে সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ছোঁয়া।
ভারতীয় রেলের জানা যাচ্ছে, মহাকুম্ভ উপলক্ষে প্রয়াগরাজ ডিভিশনের প্রতিটি রেল স্টেশনের দেওয়ালকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বিশেষভাবে। প্রতিটি স্টেশনের দেওয়ালে তুলে ধরা হবে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নানা দৃশ্যপট। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী এবং ভারতীয় ঐতিহ্যের নানান দিক থাকবে এই সব শিল্পকর্মে। উদাহরণস্বরূপ রামায়ণ, কৃষ্ণলীলা, ভগবান বুদ্ধ, ভগবান শিব, গঙ্গা আরতি এবং নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিষয়গুলির পাশাপাশি প্রয়াগরাজের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক নানা দৃশ্য দেখতে পাবেন পুণ্যার্থীরা। যে স্টেশনগুলিকে সাজিয়ে তোলা হবে তা হল, প্রয়াগরাজ জংশন, নৈনি জংশন, ফাফামাউ, প্রয়াগ, ঝুনসি স্টেশন, রামবাগ, ছেওকি, প্রয়াগরাজ সঙ্গম, সুবেদারগঞ্জ স্টেশন-সহ প্রয়াগরাজে অবস্থিত অন্যান্য স্টেশনগুলি।
রেলওয়ের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র সৌন্দর্যায়নেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, প্রয়াগরাজের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও প্রতিফলিত করা হচ্ছে। স্টেশনের দেওয়ালে আঁকা ছবিগুলিতে থাকবে মুনি ঋষিদের কথা, গুরু-শিষ্য ঐতিহ্য, জ্ঞান এবং ত্যাগের গুরুত্ব, যা প্রয়াগরাজের আধ্যাত্মিক রূপকে আরও ব্যাপক পরিসরে তুলে ধরবে।
উল্লেখ্য, মহাকুম্ভ ২০২৫ উপলক্ষে আগত পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিষেবায় যাতে কোনও খামতি না থাকে তাঁর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সরকার। আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ কোটি মানুষ গত ৪৫ দিনে এখানে উপস্থিত হবেন বলে মনে করছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। তাঁদের জন্য টয়লেট, তাবু-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি রাখা হয়েছে নানা বিনোদনের ব্যবস্থাও। মহাকুম্ভে স্নানপর্বের সময় জল, স্থল ও আকাশ ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে প্রয়াগরাজ জংশন-সহ এই ডিভিশনের সমস্ত স্টেশনের সংস্কারে হাত লাগিয়েছে রেল। সংস্কারের মধ্যে যেমন রয়েছে সৌন্দর্যায়ন, তেমনই আছে যাত্রী স্বাচ্ছন্দে নানা ব্যবস্থা। দীর্ঘ সফরের যাত্রীদের ক্লান্তি কাটাতে উত্তর-মধ্য রেলের তরফে প্রয়াগরাজ জাংশনে গড়ে তোলা হয়েছে একটি অত্যাধুনিক গেমিং জোন।