সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরভর পুরীর জগন্নাথ মন্দির ভক্তদের ভিড়ে থিক থিক করে। শ্রীক্ষেত্রে গেলে প্রত্যেকেই প্রভুর মহাপ্রসাদ নিতে চান। যার ফলে বর্তমানে যে জায়গা থেকে প্রসাদ দেওয়া হয়, সেই স্থানে প্রচুর ভিড় হয়। জায়গাটি তুলনামূলক ছোটও। এবার সেই ভিড় সামলাতে মন্দিরে চালু হতে চলেছে নয়া ব্যবস্থা। ভক্তদের জন্য তৈরি করা হবে নতুন ডাইনিং হল। এখানে মহাপ্রসাদ নিয়ে বসে খেতে পারবেন দর্শনার্থীরা। যার নাম দেওয়া হবে অন্নক্ষেত্র।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির চারধামের একটি ধাম। বছরভর জগন্নাথ দেবের দর্শনের জন্য ভক্তদের সমাগম হয়। তবে বিশেষ দিনে যেমন দোলযাত্রা, দশেরা, নিউ ইয়ারে প্রচুর ভক্তের ভিড় হয়। শক্রবার দোলের দিন প্রায় সারারাত মন্দিরের দরজা খোলা রাখতে হয়েছে। ৩টে নাগাদ দরজা বন্ধ করা হয়। যাঁরাই মন্দিরে যায় প্রায় সকলেই ভগবানের মহাপ্রসাদ পেতে বর্তমানে যেখান থেকে প্রসাদ পরিবেশন করা হয়, সেই আনন্দবাজারের চাতালের তলায় ভিড় জমান। সেই জায়গাটি খুব বড় না হওয়ায় কার্যত ঠেলাঠেলি শুরু হয়। অনেককেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সেই সমস্যা সমাধানে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এক সংবাদমাধ্যমে মন্দির পরিচালন কমিটির সভাপতি গজপতি দিব্যসিং বলেন, "শ্রীমন্দির পরিকল্পনা প্রকল্পের অধীনে আমরা মন্দিরের উত্তর দ্বারের কাছে ভক্তদের জন্য নতুন স্থান তৈরি করছি।" ভক্তরা আনন্দবাজার থেকে মহাপ্রসাদ থেকে গ্রহণ করে, সেখানে নিয়ে যেতে পারবেন। যখন আনন্দবাজার তৈরি করা হয়েছিল সেই সময় হয়ত এত ভক্তের সমাগম হত না।"
নতুন স্থান তৈরির পাশাপাশি মন্দির কর্তৃপক্ষ জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরের রান্না ঘরটিরও সংস্কার করবে। প্রতিবছর রথযাত্রার সময় এখানে ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা সাতদিনের জন্য ভ্রমণে আসেন। সেই সময় এখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০,০০০ জনেরও বেশি ভক্তদের জন্য খাবার প্রস্তুত করা হয়। সেই জন্য রান্নাঘরটির সংস্কার হবে। এছাড়া মন্দির কর্তৃপক্ষ মন্দির প্রশাসনের অফিসটিও নতুন স্থানে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করেছে। ২০২৬ সালে রথযাত্রার আগেই রন্ধনশালার সংস্কারের কাজ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
