সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গৌতম আদানিকে অনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে সরকার! গত কয়েক বছর লাগাতার এই অভিযোগে সরব রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কয়লা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর শিল্পপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাহুল। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর পথে নেমে আন্দোলন করেছে কংগ্রেস। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। বৃহস্পতিবার মার্কিন আদালত শিল্পপতির বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ তুলতেই ফের সরব রাহুল। এবার তাঁর অভিযোগ, "আদানি যে ২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি করেছেন, তাতে কোনও তদন্তও হবে না, গ্রেপ্তারিও হবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদি খোদ আদানির সঙ্গে জড়িত।"
মার্কিন আদালতের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী দলনেতা সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন। রাহুলের বক্তব্য, "আমরা যেটা বলতাম, সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল। আদানিজি মার্কিন ও ভারতীয়-দুই দেশের আইনই ভেঙেছেন। এর পরও কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারছেন? এ দেশে মুখ্যমন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হন, আদানি কেন নন? আসলে প্রধানমন্ত্রীও ওঁর সাথে জড়িত।" মোদিকে খোঁচা দিয়ে রাহুল বললেন, "প্রধানমন্ত্রী আসলে এক হ্যায় তো সেফ হ্যায় মন্ত্রে বিশ্বাসী। ১০-১৫ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হন, অথচ ২০০০ কোটির দুর্নীতিতে আদানির কিছু হয় না।"
রাহুলের দাবি, আজই আদানিকে গ্রেপ্তার করা উচিত। একই সঙ্গে একপ্রকার চ্যালেঞ্জের সুরে বিরোধী দলনেতা বললেন, "২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি। অথচ আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি কোনও তদন্তও হবে না। গ্রেপ্তারিও হবে না। প্রধানমন্ত্রী ওকে বাঁচায়, উনি বিজেপিকে সাহায্য করেন, এটা প্রমাণিত সত্য। মোদি চাইলেও কিছু করতে পারবেন না। তাঁর ক্ষমতাই নেই। এই দেশের প্রধানমন্ত্রী আদানির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।"
আদানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে তাতে আর কিছু হোক বা না হোক মোদির বিশ্বাসযোগ্যতা, ভাবমূর্তি ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি রাহুলের। তিনি বলছেন, "যারা দেশকে হাইজ্যাক করছে, সবার মুখোশ প্রকাশ্যে আনব। এর জন্য বিরোধী দলগুলো, নানা মানুষ একযোগে কাজ করছে। মোদিজির বিশ্বাসযোগ্যতা, ভাবমূর্তি ভেঙে চুরমার করে দিয়েছি। ধীরে ধীরে গোটা নেটওয়ার্ক প্রকাশ করে দেব।"