সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যদি বারাণসী কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াতেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হারিয়ে দিতেন। দুই থেকে তিন লক্ষ ভোটে। এমনই দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে একথা যে নেহাতই উদ্ধত হয়ে তিনি বলছেন না, সেকথাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর সাফ কথা, দেশের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা মোদির রাজনীতিতে সন্তুষ্ট নন।
ঠিক কী বলেছেন রাহুল? তাঁর কথায়, ''আমি একথা কোনও ঔদ্ধত্য থেকে বলছি না। আমি একথা বলছি কারণ ভারতের মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিয়েছেন তাঁরা ওঁর রাজনীতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন। ঘৃণা ও হিংসার বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় নাগরিকরা।''
[আরও পড়ুন: DA নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের, জামাইষষ্ঠীর আগেই সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর]
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে চারশো পারের দাবি করলেও শেষপর্যন্ত এনডিএ (NDA) তিনশো পেরয়নি। বিজেপির আসনসংখ্যা একলাফে অনেকটাই কমেছে। এহেন পারফরম্যান্সের প্রতীকী প্রকাশ যেন প্রধানমন্ত্রী মোদির বারাণসীতে জয়ের মধ্যেও রয়েছে। গণনার দিন শুরুতে দেখা গিয়েছিল ৬ হাজারেরও বেশি ভোটে হারছেন মোদি। পরে অবশ্য সামলে নেন তিনি। শেষপর্যন্ত নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাইকে দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়ে দেন তিনি। কিন্তু তা গত দুবারের তুলনায় অনেকটাই কম। ২০১৪ সালে মোদি এখানে জিতেছিলেন ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৮৪ ভোটে। ২০১৯-এ সেই ব্যবধান বাড়ে অনেকটাই। সেবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শালিনী যাদবকে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন মোদি। ভোট পেয়েছিলেন ৬৩.৬২ শতাংশ। এর তুলনায় দেড় লক্ষের সামান্য বেশি ভোটে জেতার পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দিচ্ছে এবার মোদির (PM Modi) জয় যেন অনেকটাই ম্লান। আর সেই প্রসঙ্গ তুলেই এবার খোঁচা দিলেন রাহুল।
উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। রাহুল (Rahul Gandhi) দুজায়গায় দাঁড়িয়ে দুটিতেই জয় পেয়েছেন। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের পারফরম্যান্সও খুবই ভালো। হাত শিবির পেয়েছে ৯৯টি আসন।