সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। স্বীকার করে নিলেন খোদ রাহুল গান্ধী। মেনে নিলেন, কংগ্রেসের কাছে গুজরাটবাসী যেটা আশা করে, সেটা কংগ্রেস দিতে পারেনি। সেকারণেই রাজ্যে ৩ দশক ক্ষমতা থেকে দূরে হাত শিবির। লোকসভার বিরোধী দলনেতা মানছেন, কংগ্রেসের এই ব্যর্থতা সার্বিক। যতদিন না সেটা দূর করা যাচ্ছে, মানুষের কাছে সমর্থন প্রত্যাশা করাই উচিত নয়।
গুজরাটে প্রায় ৩ দশক ক্ষমতার বাইরে কংগ্রেস। শেষবার গুজরাটে কংগ্রেস পাতে দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স করেছিল ২০১৭ সালে। তবে সেবারও বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়নি। ২০২২ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের কার্যত ভরাডুবি হয়। সে বার কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসায় আম আদমি পার্টি। ২০২৭-এ সে রাজ্যে ফের নির্বাচন। সাতাশের লক্ষ্যে প্রস্তুতিটা ৮ মার্চ থেকেই শুরু করলেন রাহুল। তবে বিরোধী দলনেতার মুখে শুরুতেই আত্মসমালোচনার সুর।
রাহুল বলছেন, "গুজরাটের মানুষ উন্নয়নের দিশা চায় কংগ্রেসের থেকে। বিকল্পের খোঁজ করছে গোটা গুজরাট। বিজেপি বা বিজেপির বি টিমকে গুজরাটবাসী চায় না। কিন্তু আমরা গুজরাটবাসীকে সেই দিশা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা বিকল্প হিসাবে কংগ্রেসকে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি।" বিরোধী দলনেতার কথায়, "যতদিন না মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করছে কংগ্রেস, ততদিন ক্ষমতা দখল করার প্রত্যাশাও করা উচিত নয়। আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি, গুজরাটের মানুষই আমাদের ভোটে জিতিয়ে দেবে।"
রাহুল স্পষ্ট করে বলছেন, গুজরাটে কংগ্রেস দুভাগে বিভক্ত। একদল আছেন যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান। আর এক দল আছেন যারা ভীতু। কংগ্রেসে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। কেউ কেউ সোজা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতার কথায়, "কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যেও সিংহের মতো লড়াই করার ক্ষমতা আছে। কিন্তু প্রত্যেকের পিছনে শিকল বাঁধা। যারা কংগ্রেসে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন, তাঁদের এবার তাড়াতে হবে। ১০-১৫-২০-৩০ যত জনকে বের করতে হয় করে দিন। কংগ্রেসের অন্দরে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করা চলবে না।"
