সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার জন্য সংসদের অধিবেশনেও যোগ দেবেন না প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল কোনওভাবেই যাত্রা মাঝপথে থামাতে রাজি নন। তাই সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেও যোগ দেবেন না তিনি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে তিনি শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session) থেকে ছুটি নিয়ে নেবেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
রাহুল একা নন, ‘ভারত জোড়ো’ (Bharat Jodo) যাত্রায় তাঁর সঙ্গীরাও অনেকে যোগ দেবেন না সংসদের অধিবেশনে। দলের তিন রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh), কেসি বেণুগোপাল এবং দিগ্বিজয় সিংও সংসদের অধিবেশনে যোগ দেবেন না। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে চিঠি লিখে তাঁরাও ছুটি চেয়ে নিয়েছেন। দিগ্বিজয়, জয়রাম রমেশ এবং কে সি বেণুগোপাল প্রায় গোটা যাত্রাপথেই রাহুলের (Rahul Gandhi) সঙ্গী। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল কোনওভাবেই চাইছেন না যে ভাবে যাত্রা সাড়া পাচ্ছে, তাতে কোনওরকম বিরাম পড়ুক।
[আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ের ঘটনায় শুরু বিভাগীয় তদন্ত, লেডি কনস্টেবলকে তলব লালবাজারের]
রাহুলের এই যাত্রা চলছে ৬৬ দিন ধরে। শুরু থেকেই গোটা যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা হয় রাহুলের যাত্রা প্রবেশ করেছে মহারাষ্ট্রে। অর্ধেক পথ ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত। আগামী আরও প্রায় ৩ মাস এই যাত্রা চলার কথা। যাত্রা চলাকালীন রাহুল কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেননি। এমনকী হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও তিনি যাননি। গুজরাটেও (Gujarat) প্রচারে যাবেন কিনা, সেটা নিশ্চিত নয়। আসলে রাহুল ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রাকেই আপাতত নিজের ধ্যান জ্ঞান করে ফেলেছেন। যদিও বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, এই যাত্রা কি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এর জন্য সংসদের অধিবেশনেও যোগ দেওয়া যাবে না? কংগ্রেস অবশ্য বলছে, সংসদের অধিবেশনে তো বিরোধীদের বলতেই দেওয়া হয় না। তাছাড়া গুজরাট ভোটের জন্য সরকার নিজেই সংসদের অধিবেশনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। অধিবেশনে কাটছাঁট করতে করতে সেটা মোটে ১০-১২ দিনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: ডাকসাইটে পুরুষ নেতারাই গুজরাটে বিজেপির তারকা প্রচারক, ব্রাত্য মেয়েরা]
সূত্রের খবর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ৯ ডিসেম্বর। চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রাহুল-সহ তিন সিনিয়র সাংসদের অনুপস্থিতি সংসদে কংগ্রেসের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে। এমনিতেই সংখ্যার বিচারে সংসদে বিজেপির (BJP) থেকে কয়েকশো যোজন পিছিয়ে হাত শিবির। তার উপরে যদি রাহুলদের মতো সিনিয়র সাংসদরাও অধিবেশনে না থাকেন, তাহলে বিজেপির মুখোমুখি হওয়াটা কংগ্রেসের জন্য আরও চাপের ব্যাপার হবে।