সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন থেকেই দেশজুড়ে শুরু অনির্দিষ্টকালের রেশন ধর্মঘট(Ration Strike)। রেশন ধর্মঘটের ডাক দেয় অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ওনার্স ফেডারেশন। ধর্মঘটের ফলে গোটা দেশে ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার রেশন দোকান বন্ধ। সমস্যায় দেশের অন্তত ৮১ কোটি মানুষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে কেষ্টপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার, ব্যানার হাতে পথে নামেন রেশন ডিলাররা। খাদ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিও রয়েছে তাঁদের।
মঙ্গলবার সকালে কেষ্টপুরে পোস্টার ব্যানার হাতে নিয়ে পথে নামেন রেশন ডিলার। তাঁদের সঙ্গে পথে নামেন এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। তিনি জানান, রেশন ডিলারদের মাসিক ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা আয় সুনিশ্চিত হওয়া এবং পিডিএস কন্ট্রোলার নামে যে দমনমূলক নীতি রাজ্যের খাদ্যদপ্তর এনেছ, তা প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, রেশন গ্রাহকদের প্রাপ্য থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে এই শিল্পীর রামলালার, জানাল ট্রাস্ট]
উল্লেখ্য, বহু রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে নানা সময় অভিযোগ ওঠে রেশনে কারচুপির। বরাদ্দ অনুযায়ী রেশন মিলছে না বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। এই অভিযোগ মেটাতে আইরিশ স্ক্যানারে গ্রাহকের পরিচয় যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে রেশন দোকানগুলিতে। রেশন তোলার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিকের প্রয়োজনে আধার কার্ড নম্বর আপডেট করার পাশাপাশি হাতের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে খাদ্যদপ্তর। তাতেও সমস্যা মিটছিল না। হাতের আঙুলের ছাপ না মেলাতে পারায় গ্রাহকের পরিচিতি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।
রেশন ডিলারদের দাবি, খাদ্যশস্য নষ্ট কমাতে এফসিআই থেকে চটের বস্তায় খাদ্যশস্য দিতে হবে। দার্জিলিংয়ের মতো অন্যান্য জেলাতেও বর্ধিত কমিশন দিতে হবে। এনএফএসএ-র নিয়ম অনুযায়ী অগ্রিম কমিশন চালু করতে হবে। আর এই দাবি না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলবে বলেই জানান রেশন ডিলাররা।