সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যমুনায় বিষ মেশাচ্ছে হরিয়ানা! নিজের বেফাঁস মন্তব্যের জন্য আরও একবার ঢোক গিললেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া সাফাইয়ে কেজরিওয়াল একপ্রকার স্বীকার করে নিলেন, হরিয়ানার বিজেপি সরকার যমুনার জলে বিষ মেশাচ্ছে এমন কোনও প্রমাণ তাঁর কাছে নেই। তবে দিল্লির জল বোর্ডের সিইও-র লেখা একটি চিঠি আছে। যাতে যমুনার জলকে বিষাক্ত বলা হয়েছে। কেজরির দাবি, তিনি ওই মন্তব্য করেছেন জনস্বার্থে।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
২০২০ সালের মতো এবারও দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের মূল ইস্যু হিসাবে উঠে এসেছে যমুনা দূষণ। চাপের মুখে যমুনার জল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে নিয়েছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিন দুই আগে যমুনার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন কেজরি। তাঁর অভিযোগ ছিল, হরিয়ানা থেকে সেরাজ্যের বিজেপি সরকার যমুনার জলে বিষ মেশাচ্ছে। সেই বিষ রুখতে আগে থেকে পদক্ষেপ করেছে আপ সরকার। কেজরির ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে আসে বিজেপি এবং কংগ্রেস। কমিশনও কড়া অবস্থান নেয়। তাঁরা জানিয়ে দেয় বুধবারের মধ্যে নিজের মন্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে হবে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
বুধবার সেই মতো চিঠি দিয়ে কমিশনের কাছে সাফাই দিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, "আমি ওই মন্তব্য করেছিলাম নাগরিক সচেতনতার জন্য। মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থেকে ওই মন্তব্য করা। কারও প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো বা জাতীয় সংহতিতে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না।" কেজরির বক্তব্য, "হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে যে জল আসে সেই জল অত্যন্ত দূষিত। যা সাধারণ মানুষকে পান করার জন্য দিলে তাতে স্বাস্থ্যহানি তো বটেই, এমনকী মৃত্যুও হতে পারে। ওই জল এতটাই দূষিত যে দিল্লির জল পরিশ্রুতকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমেও পানযোগ্য করা যাচ্ছে না।" এ প্রসঙ্গে দিল্লির জল বোর্ডের সিইওর একটি চিঠিকে হাতিয়ার করেছেন কেজরি। তিনি বলছেন, "দিল্লি জল বোর্ডের সিইও নিজের চিঠিতেই লিখেছেন হরিয়ানা থেকে আসা যমুনার জলে অ্যামোনিয়াম এবং দূষিত বজ্র নিয়ন্ত্রণের বাইরে।"
যদিও কেজরির গোটা বক্তব্যে কোথাও সরাসরি তিনি কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি যাতে বোঝা যায় হরিয়ানা থেকে যমুনায় জল মেশানো হচ্ছে। ফলে বিপত্তি এখনই কমছে না তাঁর। ইতিমধ্যেই তাঁকে তলব করেছে হরিয়ানার এক আদালত। এমনকী হরিয়ানা সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মামলার করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।