সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগের তুলনায় রেমডেসিভির (Remdesivir) উৎপাদনে অভাবনীয় উন্নতি করেছে দেশ। এমনই আশার কথা শোনাল কেন্দ্র। গত ১১ এপ্রিল যেখানে দৈনিক হিসেবে ৩৩ হাজার ভায়াল তৈরি হয়েছিল, সেখানে এই মুহূর্তে তৈরি হচ্ছে দৈনিক ৩.৫ লক্ষ ভায়াল। অর্থাৎ উৎপাদনের গতি বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মনদাভিয়া একটি টুইটে এই সুখবর দিয়েছেন।
গত মাসেই দেশে আছড়ে পড়েছিল করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে দেশে বাড়তে থাকা রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনের চাহিদার দিকে নজর রেখে বিদেশে সেটির রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি উৎপাদনের গতি বাড়ানোরও পরিকল্পনা করা হয়। এক মাসের মধ্যেই প্লান্টের সংখ্যা ২০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করা হল। আপাতত সরকারের লক্ষ্য রেমডেসিভিরের ৫০ লক্ষ ভায়াল মজুত রাখা। এদিনের টুইটে সকলকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে দেশে চাহিদার থেকে বেশি রেমডেসিভির উৎপাদিত হয়ে গিয়েছে এরই মধ্যে।
[আরও পড়ুন: মুসলিম দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু কেন্দ্রের]
এদিকে দেশে টিকা উৎপাদনের গতিও বাড়ানো দরকার বলে শনিবার জানিয়েছেন এইমসের প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, ‘‘জুলাইয়ের শেষে দেশে দৈনিক ১ কোটি মানুষের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগতে হবে। এজন্য দেশে টিকার ডোজ উৎপাদনে গতি আনতে হবে। সেই সঙ্গে বিদেশ থেকেও টিকা আমদানি করতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকরের (Prakash Javadekar) দাবি, ডিসেম্বরের মধ্যেই সবাই টিকা পেয়ে যাবেন। তিনি বলেন, “ভারতে টিকাকরণ ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এবিষয়ে ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। যাতে ১০৮ কোটি দেশবাসীর জন্য ২১৬ কোটি টিকার ডোজ দেওয়ার কাজ ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়ে যাবে।”