সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ভাগ্য নাকি বদলে দিয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব! কীভাবে? না, তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) অধিনায়কত্বে খেলার সময়ই বিরাট প্রথম নির্বাচকদের নজরে আসেন। তাই বিরাটের ভাগ্যবদলের কৃতিত্ব লালু-পুত্রের। এমনটাই দাবি করেছে তাঁর দল আরজেডি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মস্করার শেষ নেই।
বৃহস্পতিবার ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির জন্মদিন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা ক্ষেত্রের মানুষ তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিহারের রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) পক্ষ থেকেই টুইটারে কোহলিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়। দলের টুইটারা হ্যান্ডেলে সেই শুভেচ্ছাবার্তায় উল্লেখ করা হয়, তাঁদের নেতা তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে খেলার সময়ই নাকি বিরাট কোহলির ভাগ্য বদলে যায়। এরপরেই এই শুভেচ্ছে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া, ব্যঙ্গ দেখা যাচ্ছে। এমনকী, বেশকিছু মিমও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘এবার নতুন অধিনায়ক খোঁজা উচিত আরসিবির’, কোহলিকে তুলোধোনা করলেন গম্ভীর]
উল্লেখ্য, প্রাক্তন ক্রিকেটার দিলীপ বেঙ্গসরকারই প্রধান নির্বাচক হিসাবে বিরাট কোহলিকে জাতীয় দলে সুযোগ দিয়েছিলেন। ২০০০ সালে বিসিসিআই (BCCI) জগমোহন ডালমিয়ার নেতৃত্বে দেশের সমস্ত অংশ থেকে ক্রিকেট প্রতিভা তুলে আনার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প শুরু করেছিলেন। সেই প্রকল্পেই একবার মুম্বই অনূর্ধ্ব-১৬ দলের বিরুদ্ধে খেলতে এসেছিলেন বিরাট। তখন বিরাটের দলের অধিনায়ক ছিলেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। সেই ম্যাচেই নাকি বেঙ্গসরকারের নজর কেড়েছিলেন কোহলি। তেজস্বী যাদব আগে রঞ্জি ট্রফিতে ঝাড়খণ্ডের প্রতিনিধিত্ব করতেন। তিনি আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস টিমেও ছিলেন একটা সময়। তবে একটি ম্যাচেও খেলেননি। তারপরই ক্রিকেটের ময়দান ছেড়ে রাজনীতিতে চলে আসেন। এদিন, আরজিডির টুইট ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসাহাসি শুরু হয়ে যায়। অনেকেই বলছেন, বিহার বিধানসভা ভোটের আবহে এটা নজর কাড়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।