সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সমস্ত মুসলিমদের গোমাংস না খাওয়াই উচিত৷ কেননা হজরত মহম্মদ বা তাঁর পরিবারের লোকেরা কখনও গোমাংস খাননি৷ বরং তাঁরা গোমাংস খাওয়াকে অসুখ হিসেবেই গণ্য করতেন৷ গোদুগ্ধকে প্রাধান্য দিতেন৷ এমনটাই দাবি আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমারের৷
[ অর্থাভাবে আটকাচ্ছিল উচ্চশিক্ষা, পড়ুয়ার পাশে দাঁড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী ]
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক ইফতার পার্টিতে হাজির ছিলেন এই আরএসএস নেতা৷ ইফতারের আয়োজন করেছিল আরএসএস-এরই মুসলিম শাখা৷ উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তালাত আহমেদেরও৷ যদিও শেষমেশ তিনি থাকতে পারেননি৷ ওই অনুষ্ঠান শেষেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন আরএসএস নেতা৷ তাঁর দাবি, সমস্ত মুসলিমদের গোমাংস খাওয়ার অভ্যাস ছাড়া উচিত৷ কেননা হজরত বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা কখনও গোমাংস খাননি৷ তাঁর আরও দাবি, গোমাংস খাওয়া আসলে অসুখের পর্যায়ভুক্ত৷ আর তার নিরাময় হচ্ছ গোদুগ্ধ পান৷ হজরতও তাতেই প্রাধান্য দিতেন বলে দাবি তাঁর৷ এমনকী ইফতারের শরবতেও গোরুর দুধ রাখার আর্জি জানান তিনি৷
[ ভারতীয় মুসলমানরা ‘নির্লজ্জ’, দাবি জঙ্গি মুসার ]
তাঁর দাবি, নিজেদের ধর্মকে মুসলিমরা যেন অনাকর্ষণীয় না করে তোলেন৷ তার জন্য কী করা উচিত? তাঁর পরামর্শ, এই সময়টাতে এলাকায়, মসজিদ বা দরগার আশেপাশে গাছ লাগানো দরকার৷ যাতে পরিবেশ দূষণ রোধ করা যায়৷ পাশাপাশি মুসলিমরাও যেন ঘরে ঘরে তুলসী গাছ রাখেন৷ কেননা এ গাছ স্বর্গীয়৷ সেই সঙ্গে তাঁর আর্জি, গোমাংস খাওয়ার অসুখ থেকে যেন বেরিয়ে আসেন মুসলিমরা৷
যদিও আরএসএস নেতার এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক ছড়িয়েছে৷ ইফতার পার্টিতে তাঁর উপস্থিতিতেই নারাজ ছিলেন বহু ছাত্র৷ এ নিয়ে ছোটখাটো সংঘর্ষও বাধে পড়ুয়াদের মধ্যে৷ যে পড়ুয়ারা ইন্দ্রেশের উপস্থিতির বিরোধিতা করেছিলেন তাঁদের আটকে রেখে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে৷ অবশ্য ইন্দ্রেশের সমর্থকের সংখ্যাও কম ছিল না৷ তাঁদের উদ্দেশ্য করেই নেতা বলেন, মুসলিমরা যেন তাঁদের ধর্মকে আরও সুন্দর করে তোলেন৷ তাঁদের কাজে যেন ইসলাম ধর্ম কখনও আকর্ষণ না হারায়৷
[ সরকারি কর্মীদের দুর্নীতির তদন্ত ৬ মাসেই, সময়সীমা বাঁধল কেন্দ্র ]
The post মহম্মদ কখনও গোমাংস খাননি, দাবি আরএসএস নেতার appeared first on Sangbad Pratidin.