সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে খ্রিস্টান ধর্মান্তকরণের কাজে অর্থ সাহায্য করে আমাজন (Amazon)। জনপ্রিয় ই-কমার্স জায়েন্টের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনল আরএসএস (RSS) মুখপত্র। সংঘ-অধিভুক্ত ম্যাগাজিন দ্য অর্গানাইজারের (The Organizer) সাম্প্রতিক সংখ্যায় এই অভিযোগ আনা হয়েছে। আমেরিকান ব্যাপটিস্ট চার্চকে (ABM) আর্থিক সাহায্য করে আমাজন। এবিএম ধর্মান্তকরণ মডিউল (Conversion Module) চালায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। যদিও সংঘ মুখপত্রের দাবি অস্বীকার করেছে আমাজন।
দ্যা অর্গানাইজারের সাম্প্রতিক সংখ্যায় দাবি করা হয়েছে, “ভারতে ধর্মান্তকরণ চালায় আমেরিকান ব্যাপটিস্ট চার্চ। এদের আর্থ সাহায্য করে আমাজন।” সংঘ মুখপত্রের প্রচ্ছদ কাহিনিতে আশঙ্কা করা হয়েছে, ভারতে ব্যাপক হারে ধর্মান্তকরণ চালানো এবিএমকে বেআইনি অর্থপাচারের মাধ্যমে সাহায্য করে থাকে আমাজন। এই এবিএমের ভারতের মুখপত্র সংস্থা হল অল ইন্ডিয়া মিশন (AIM)। নিজেদের ওয়েবসাইটে এআইএম দাবি করেছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে ২৫ হাজার মানুষকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণ করেছে তারা।
[আরও পড়ুন: ৮০০ কোটি ছুঁয়ে ফেলল বিশ্বের জনসংখ্যা, আগামী বছরই চিনকে টপকে যাবে ভারত]
অর্গানাইজারের দাবি, আমাজন ছাড়াও একাধিক কোম্পানি থেকে আর্থ সাহায্য পায় এবিএম, তাদের ভারতের ধর্মান্তকরণ মিশনের জন্যে। তবে আমাজন যে ভারতের প্রতিটি কেনাকাটার অর্থ এবিএমের ধর্মান্তকরণ মিশনে দান করে থাকে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে আমাজন। সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অল ইন্ডিয়া মিশনের সঙ্গে আমাজনের কোনওরকম সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, গতকালই জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ (Forced Religious Conversion) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের বক্তব্য, জোর করে ধর্মান্তকরণ ‘অত্যন্ত গুরুতর বিষয়’। প্রতারণা, প্রলোভন কিংবা ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্মান্তকরণ রুখতে কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই ধরনের ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে বলেও মত আদালতের, ক্ষুণ্ণ হতে পারে নাগরিকের অধিকার তথা ধর্মীয় অধিকার।
[আরও পড়ুন: বাস্তবের ‘দৃশ্যম’, স্বামীকে খুন করে প্রেমিকের বাড়ির তলায় পুঁতে দিল স্ত্রী!]
সোমবার শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি এম আর শাহ (MR Shah) এবং হিমা কোহলির (Hima Kohli) বেঞ্চ জানায়, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জোর করে ধর্মান্তকরণ বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নচেত আগামী দিনে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।” এই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র এদিন তা জানতে চায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ।