সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনের মধ্যেই এবার স্লোগানে বদল আনল আরএসএস। আরএসএসের এবার নয়া স্লোগান ‘আর নয় পলায়ন, এবার পরাক্রম’।
আরএসএসের ব্যাখ্যা, বাংলাদেশে অত্যাচারের মুখে পড়ে কেন সেখানকার হিন্দু সংখ্যালঘুরা নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে এদেশে চলে আসবে? ১৯৭১ সালে যা হয়েছে তা এবার হবে না। বাংলাদেশ হিন্দুদেরও। আরএসএসের কার্যকর্তা ড. জিষ্ণু বসুর বক্তব্য, ‘‘দুই বাংলাতেই হিন্দু বাঙালির অস্তিত্বের সংকট। দুই বাংলায় বাঙালি হিন্দু আজ ঐক্যবদ্ধ। তথাকথিত উচ্চ-নিচ, ঘটি-বাঙাল, ধনী-দরিদ্র এই লড়াইটা সকলের। আর এক পাও পিছোব না। যেখানে যে আছি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সেখানে থাকব। লড়াই করব।’’
আরএসএস চাইছে, কোনও হিন্দু যেন বাংলাদেশ থেকে চলে না আসে। বরং প্রতিরোধের দাপট, তেজ ও বীরত্ব দেখাক তারা সেখানে। আরএসএসের মুখপাত্র বিপ্লব রায়ের কথায়, ‘‘আমরা বলছি বাংলাদেশ থেকে চলে এলে বা পলায়ন করে এলে হবে না। ওখানেই থেকে লড়াই করে পরাক্রম দেখাতে হবে। বাংলাদেশে হিন্দুদের অধিকার আছে।’’
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বাংলাদেশ ইস্যুকে সচল রাখতে চাইছে আরএসএস। কারণ, ‘হিন্দুত্ব খতরা মে হ্যায়’ এটা প্রচার করছে তারা। তাই বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে থাকার সবরকম বার্তা দিয়েছে আরএসএস। বিজেপি। বাংলাদেশ ইস্যুকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় প্রচার আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ানোর জন্য বঙ্গ বিজেপিকেও নির্দেশ দিয়েছে আরএসএস। বিজেপিও মনে করছে, হিন্দুত্বের আবেগকে ধরে এ রাজ্যে এগোতে হবে। তাই বাংলাদেশ ইস্যু তাদের কাছে এই মুহূর্তে প্রধান অস্ত্র। কারণ, বাংলায় গত লোকসভা নির্বাচনে শক্তি কমেছে বিজেপির। বাংলায় রাজনৈতিক জমি দখল করা যে খুব কঠিন তা বুঝতে পারছেন পদ্মশিবিরের নেতারা। বাংলাদেশ ইস্যুকে সামনে রেখে হিন্দুত্বের চড়া সুর তুলে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সোমবারও ধর্মতলায় রানি রাসমণি রোডে বাঙালি হিন্দু সুরক্ষা সমিতির ডাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে মিছিল ও সভা হয়েছে।