সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার দুর্বল হচ্ছে না। বরং শক্তিশালী হচ্ছে ডলার। কিছুদিন আগে আমেরিকায় দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। অর্থমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। কিন্তু নির্মলা নিজের মন্তব্য অনড়। তাঁর মন্তব্যের সমর্থনে এবার পরিসংখ্যান প্রকাশ করল অর্থমন্ত্রক।
অর্থমন্ত্রক শনিবার অর্থনৈতিক পর্যালোচনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট মেনে নেওয়া হয়েছে যে ডলারের (Dollar) তুলনায় টাকার দামের পতন হয়েছে। তবে, সেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুদ্রার তুলনায় কম। রিপোর্ট বলছে, গত এক মাসে ভারতীয় মুদ্রার দাম ডলারের তুলনায় কমেছে ৫.৪ শতাংশ। সেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুদ্রা বিশেষ করে ডলার বাদে সেরা ছ’টি মুদ্রার দাম গড়ে পড়েছে ৮.৯ শতাংশ। অর্থাৎ তুলনামূলকভাবে ভারতীয় মুদ্রাই ভাল জায়গায়।
[আরও পড়ুন: সুদীপ ‘সুখী নেতা’, তাপস রায়ের পাশে দাঁড়িয়ে সাংসদকে খোঁচা মদনের]
উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রীর দাবি ছিল, “টাকার (Indian Rupee) দামে পতন হচ্ছে না। মার্কিন ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রার থেকে ভারতীয় মুদ্রা তুলনামূলক ভাবে ভাল অবস্থাতেই রয়েছে।” নির্মলার দাবি, মার্কিন ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। সেখানে বিশ্বের অন্য সব দেশের মুদ্রা দুর্বল হচ্ছে কূটনৈতিক পরিস্থিতির জন্য। অর্থমন্ত্রকের প্রকাশ করা পরিসংখ্যান নির্মলার সেই দাবিকেই মান্যতা দেয়। অপরিশোধিত তেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার আশঙ্কা, বিদেশি বিনিয়োগের অভাবের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক কারণকেই টাকার দামের সামান্য পতনের কারণ হিসাবে দেখাচ্ছে অর্থমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: আইন ভেঙে বিদেশি অনুদান! রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের]
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই সর্বকালের রেকর্ড গড়ে ডলারের তুলনায় টাকার দাম ৮৩ টাকায় নেমে যায়। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু চলতি বছরেই টাকার দাম ১১ শতাংশ কমে গিয়েছে। গত ৮ বছরে এই পতনের অঙ্কটা ২৫ শতাংশের বেশি। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এক ডলারের (Dollar) দাম ছিল ৬৩ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯ টাকা ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ ডলারের তুলনায় টাকার দামের এই পতন ধারাবাহিক। অথচ অর্থমন্ত্রক ধারাবাহিকভাবেই এই সত্যকে অস্বীকার করে চলেছে।