সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারের পর মঙ্গলবার আরও দুর্বল হল টাকা। সোমবার এক ডলারের তুলনায় টাকার দাম ছিল ৮৪.১১। মঙ্গলবার আরও ২ পয়সা কমে ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৪.১৩। টাকার দামের এই পতনকে সর্বকালীন পতন হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় টাকার এই বেহাল অবস্থার পিছনে বিদেশি বিনিয়োগ তুলে নেওয়া ও আন্তর্জাতিক জটিলতাকেই দায়ী করা হচ্ছে।
চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর সর্বকালীন নিচে নেমেছিল টাকার দাম। সেদিন ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার দাম ছিল ৮৪.১০ টাকা। সেই রেকর্ড ভেঙ্গে যায় গত সোমবার। গতকাল ভারতীয় মুদ্রার মূল্য দাঁড়ায় ৮৪.১১ টাকা। সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল মঙ্গলবার। এদিন বিদেশি মুদ্রা বিনিময় বাজার খোলার পরই ডলারের তুলনায় আরও দুপয়সা পড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৮৪.১৩ টাকা। টাকার দামে এই বিরাট পতনের পিছনে একাধিক কারণকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
টাকার মূল্যের এই বেহাল অবস্থার জন্য মুলত শেয়ার বাজারের পতনকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেয়ার বাজার রেকর্ড ছোঁয়ার পর এখনও পর্যন্ত ৮ শতাংশ পড়েছে বাজার। দেশিয় সংস্থাগুলির লাগাতার পতনের জেরে আস্থা হারাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। শেয়ার বাজারের পাশাপাশি যার প্রভাব পড়ছে মুদ্রা বাজারেও। এদিকে বিদেশি লগ্নিকারীরা ডলার কেনায় আগ্রহী হওয়ায় দাম বাড়ছে ডলারের।
ফরেক্স ব্যবসায়ীদের মতে, এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় টাকা সংকীর্ণ পরিসরে বাণিজ্য করতে পারবে। তবে ডলার দামি হওয়ায় অপরিশোধিত তেলের দাম খুব একটা বাড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় হলে বাজারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।