সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণবিক্ষভের জেরে গত বছরের আগস্ট মাস থেকে ভারতে অজ্ঞাতবাসে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কবে নিজের দেশে ফিরবেন তিনি? শনিবার এই বিষয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের বক্তব্য, এটি হাসিনার ব্যক্তিগত বিষয়। নিজের দেশের পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা গণবিক্ষেভের জেরে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামি লিগের দেড় দশকের শাসনকালের সমাপ্তি হয়। সেনার পাহারায় দেশ ছাড়েন হাসিনা। এরপর থেকে ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন তিনি। অন্যদিকে মুজিবকন্যা দেশত্যাগী হতেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলার বন্যা বইয়ে দিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার। ইতিমধ্যে গণহত্যার মামলায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল আদালত ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। তাঁর যাবতীয় সম্পত্তি ক্রোক করে তা দিয়েই নিহতদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জমি দুর্নীতি মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
এই অবস্থায় হাসিনার প্রত্যার্পণ নিয়ে চাপ দিচ্ছে ঢাকা। ইতিমধ্যে দু'বার নয়দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। এদিন একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জয়শংকরকে প্রশ্ন করা হয়, হাসিনা কি যত দিন ইচ্ছে ভারতে থাকবেন? উত্তর বিদেশমন্ত্রী বলেন, "একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে তিনি এখানে এসেছিলেন। আমার মনে হয় সেই সময়ের পরিস্থিতিই স্পষ্ট করেছে তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছিল। কিন্তু আবারও বলছি, এটা এমন একটি বিষয় যেখানে তাঁকেই (বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে।"
বাংলাদেশে গণবিক্ষভের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে ঢাকার। হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ায় তা বেড়েছে বৈ কমেনি। এই অবস্থায় দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে জয়শংকর বলেন, "আমরা শুনেছি যে বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে যারা এখন ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের বিগত নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে শংসয় ছিল। নির্বাচনটাই যদি ইস্যু হয়, তবে সবার আগে সেখানে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হোক।" ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য---প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। তিনি বলেন, "আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা মনে করি, যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছা পূরণ করুক।"
