shono
Advertisement

Breaking News

গরু পাচার মামলা: সায়গলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল্লির আদালতের, পাঠানো হবে তিহার জেলে

এদিকে আজও দিল্লিতে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত কন্যা।
Posted: 12:19 PM Nov 04, 2022Updated: 12:19 PM Nov 04, 2022

সোমনাথ রায়, দিল্লি: গরু পাচার (Cattle Smuggling) মামলায় ফের জেল হেফাজতে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুক্রবার তাকে তোলা হয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে। শুনানি শেষে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এবার সায়গলের ঠিকানা হতে চলেছে তিহার জেল।

Advertisement

গরু পাচার কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একাধিকবার তাঁকে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। ৯ জুন সায়গল হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। ওইদিন দুপুর ২ টোর বেশ কিছুটা পর নিজাম প্যালেসে পৌঁছন সায়গল। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। দফায় দফায় চলে জেরা। ম্যারাথন জেরার পর সন্ধেয় গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, সম্পত্তির হিসেবে দিতে পারেননি ধৃত। তাঁর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনও মিল পাওয়া যায়নি। বক্তব্যে মিলেছে একাধিক অসংগতি। সেই কারণেই গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। তারপর একাধিকবার সায়গল জামিনের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। পরবর্তীতে ইডির হাতেও গ্রেপ্তার হন সায়গল। তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আরজি জানায় ইডি। অবশেষে মেলে অনুমতি।

[আরও পড়ুন: শীতের শিরশিরানির মাঝেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, উপকূলীয় জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা]

গত কয়েকদিন দিল্লিতে ইডি হেফাজতে ছিলেন প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সেখানে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। আজ ফের দিল্লিতে ইডির দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন সুকন্যা। এদিকে শুক্রবার সকালে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হয় সায়গলকে। শুনানি শেষে সায়গলকে তিহার জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। গ্রেপ্তারির পর তাঁর মেয়ের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। গরু পাচার মামলায় যে চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের সম্পত্তির হিসেবও। চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সেই হিসেব বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। সুকন্যার নামে অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটেরও (Fixed Deposit) হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একজন স্কুল শিক্ষিকা কীভাবে এত বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন, সেই তথ্যের খোঁজে কার্যত উঠেপড়ে লেগেছে ইডি।

[আরও পড়ুন: পরিকাঠামো নিয়ে সমস্যা, এবছরও শান্তিনিকেতনে হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement