সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্ম মা দেন ঠিকই কিন্তু মেয়েরা নাকি হামেশা বাবার সবচেয়ে কাছের হয়। বাবা সেই বিশাল বটবৃক্ষ যার নিচে হামেশা নিরাপদ বোধ করেন মেয়েরা। যেখানে সব সমস্যার সমাধান থাকে। মেয়ের সামান্যতম খুশির জন্য যে কোনও অসাধ্যকে সাধন করতে পারে একমাত্র বাবা। এমন একজন বাবা হলেন হায়দরাবাদের জাইদ খান। দিনরাত এক করে ডাবল শিফটে কাজ করেন ইনি। না, মেয়ের বিয়ের টাকা জোগাতে নয়, বরং তাঁকে পড়াশোনা শিখিয়ে সাবলম্বী করতে।
[বহুতলের দেওয়ালে ধাক্কা, মৃত অন্তত ৪০০ পরিযায়ী পাখি]
কিন্তু আজকের দিনে ভালমতো শিক্ষার জন্যও ট্যাঁকের কড়িটি ভালই খরচ করতে হয়। এদিকে ট্রাফিক পুলিশের হোমগার্ড পদে চাকরি করা জাইদের আয় বলতে সামান্য কয়েকটা টাকা। যা দিয়ে সংসার তো কোনওমতে চলে যেতে পারে, কিন্তু মেয়েকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হায়দরাবাদের মতো বড় শহরে অন্তত সম্ভব নয়। তবে বাবা তিনি। তাই মেয়ের জন্য সবকিছু করতে পারেন। না আকাশের চাঁদ হয়তো মাটিতে টেনে আনতে পারবেন না। কিন্তু ডাবল শিফটে কাজ তো করতে পারবেন!
[বিজেপি বিধায়কের শাসানি, কেঁদেই ফেললেন মহিলা আইপিএস অফিসার]
সে কারণেই ট্রাফিক পুলিশের হোমগার্ডের শিফট শেষ হয়ে গেলেই অটোর স্টিয়ারিং হাতে ধরে নেন জাইদ। নিত্যযাত্রীদের পৌঁছে দেন তাঁদের গন্তব্যে। এই আশায়, যেটুকু মূল্য মিলবে তাতে মেয়ের গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ একটু সুগম হবে। মেয়ের পড়াশোনার ইচ্ছেটা অন্তত টাকার জন্য থেমে থাকবে না। আর একদিন সে বড় হবেই। সেদিন জইদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমও সফল হবে। মেয়ের স্বপ্নের হাত ধরেই তাঁর স্বপ্নও সার্থক হবে।
The post অটো চালিয়ে মেয়ের পড়ার খরচ জোগাড় ট্রাফিক পুলিশের এই হোমগার্ডের appeared first on Sangbad Pratidin.