সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির আশা ছিল রামমন্দিরকে সামনে রেখে হিন্দুত্বের আবেগ উস্কে এ বারও অযোধ্যায় (Ayodhya) জয় হাসিল করবে তাঁরা। কিন্তু সে গুড়ে বালি ঢেলে দিয়েছেন অবধেশ প্রসাদ। ফৈজাবাদ (Faizabad) কেন্দ্রে এবার জয়ী হয়েছেন এই সপা প্রার্থী। সোমবার সেই সপা প্রার্থী অধবেশকে একেবারে সামনের সারিতে তুলে এনে তাঁর হাত ধরেই সংসদে মেগা এন্ট্রি নিলেন সপা প্রধান অখিলেশ যাদব। সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন যা নজর কাড়ল গোটা দেশের।
এবার উত্তরপ্রদেশ থেকে সংসদে প্রবেশ করেছেন ৩৭ জন সপা সাংসদ। অধিবেশনের প্রথম দিন একত্রে সংসদে প্রবেশ করেন ৩৭ জন। এই তালিকায় অখিলেশ যাদব, তাঁর স্ত্রী ডিম্পল যাদব, কাকা রামগোপাল যাদবের মতো জনপ্রিয় মুখ থাকলেও তাঁদের সকলকে পিছনে পাঠিয়ে ৩৭ জনের দলে অখিলেশ সবার সামনে নিয়ে আসেন অবধেশ প্রসাদকে। এর পর এক হাতে সংবিধান ও অন্যহাতে দলিত সাংসদ অবধেশের হাত ধরে সংসদে প্রবেশ করেন অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। অখিলেশের এই মেগা এন্টি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের দাবি, আসলে সংসদ অধিবেশনের প্রথম অবধেশকে সামনের সারিতে তুলে এনে অখিলেশ কার্যত বার্তা দিলেন, ধর্মের নামে বিজেপির রাজনীতির দিন শেষ। বিজেপির (BJP) ধর্মের খেলা ধরে ফেলেছেন মানুষ। তাঁরা চায় ধর্ম নয়, রাজনীতি হোক রোটি, কাপড়া, মকানের উপর ভিত্তি করে। মানুষের সেই বার্তার জ্বলন্ত উদাহরণ ফৈজাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী অবধেশ প্রসাদ (Awadhesh Prasad)। এর পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টি (SP) যে দলিতদের পাশে রয়েছে এদিন সে বার্তাও দিলেন সপা প্রধান।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সাল থেকে অযোধ্যা ও রামমন্দির এজেন্ডাকে হাতিয়ার করেই রাজনীতি করে চলেছে বিজেপি। ৫০০ বছর পর অবশেষে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সেই রামমন্দিরকে হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশে বাজিমাত করতে মাঠে নামে গেরুয়া শিবির। তবে কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ব বুমেরাং হয়ে ফিরেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার ২৯টি আসন কম পেয়েছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, ফৈজাবাদ লোকসভা আসনেও (যার অন্তর্গত অযোধ্যা) বিজেপি হারিয়ে জয়ী হয়েছেন সপা প্রার্থী অবধেশ প্রসাদ। যা এক বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখছে বিরোধী শিবির। এবার সেই অবধেশকেই সামনের সারিতে তুলে আনলেন অখিলেশ।
এর পাশাপাশি সংবিধান হাতে সংসদে প্রবেশ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অখিলেশ বলেন, 'সংবিধান হাতে আজ আমাদের সংসদে প্রবেশের কারণ শাসকদলকে বার্তা দেওয়া যে এই বইয়ের উপর কোনওরকম আঁচ আসতে দেব না আমরা। শাসকদল লাগাতার চেষ্টা করছে সংবিধানকে ধ্বংসের কিন্তু আমরা সেটা হতে দেব না। প্রয়োজনে প্রাণ দিয়ে সংবিধান রক্ষা করব আমরা।'