সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কারগিলে ভারতীয় সেনার হাতে প্রচণ্ড মার খেয়ে আমেরিকার সামনে হাঁটু গেড়ে সাহায্য ভিক্ষা চেয়েছিল পাকিস্তান’। বুধবার কারগিল বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমনটাই তোপ দাগলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে যোগী বলেন, ভারতের পরাক্রমে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের মতোই ফের টুকরো হয়ে যাওয়ার ভয়ে কাঁপছিল ওই দেশ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ (এলওসি) পার করে জম্মু ও কাশ্মীরের কারগিলে অনুপ্রবেশ করে পাক সেনা। কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটি দখল করে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। তারপরই হানাদারদের হঠিয়ে দিতে অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। শুরু হয় কারগিল যুদ্ধ। প্রায় দু’মাস ধরে চলা লড়াইয়ের শেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে বিপর্যস্ত হয়ে পালিয়ে যায় পাক হানাদাররা। তারপর থেকেই জুলাই মাসের ২৬ তারিখ ‘কারগিল বিজয় দিবস’ পালন করা হয়। এদিন কারগিল বিজয় দিবস উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেন, “১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই পাক হানাদারদের ভারতের মাটি থেকে হঠিয়ে দিয়েছিল সেনা। ১৯৭১ পাকিস্তানকে দু’ভাগে ভেঙে দিয়েছিল ভারত। এবার তিন ভাগ হয়ে যাওয়ার ভয়ে আমেরিকার কাছে সাহায্য ভিক্ষা করতে গিয়েছিল পাকিস্তান।”
[আজ কারগিল বিজয় দিবস, এই তথ্যগুলি জানেন কি?]
উল্লেখ্য, কারগিল যুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের হস্তক্ষেপের আরজি জানিয়েছিলেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। যুদ্ধে লজ্জাজনক ভাবে হেরে যাওয়ার পর অবশ্য তিনি দাবি করেন, তাঁকে অন্ধকারে রেখে পাক সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফ ওই যুদ্ধ শুরু করেন। তবে শেষমেষ ভারতীয় সেনার হাতে পর্যুদস্ত হয়ে শরিফেরই দ্বারস্থ হয়ে আমেরিকার সাহায্য প্রার্থনার আবেদন জানাতে হয় তাঁকে। ২০০৪ সালে প্রকাশিত নিজের আত্মজীবনীতে কারগিল নিয়ে অনেক অজানা তথ্যে খোলসা করেন বিল ক্লিন্টন। কারগিলে আমেরিকা কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না বলে সাফ শরিফকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবং বিনা শর্তে কারগিল থেক পাক সেনা হঠানোর দাবিও জানিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
[বাংলাদেশে গুলির লড়াই, খতম ৪ সন্দেহভাজন জঙ্গি ]
১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী কারগিল যুদ্ধের ইতি ঘোষণা করেন। ঘোষণা করেন ভারতের এই বিজয় দিবসের। যা আজ গর্বের সঙ্গে স্মরণ করলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বরা।
The post ‘কারগিল যুদ্ধে প্রাণ বাঁচাতে আমেরিকার পায়ে ধরে ভিক্ষা চেয়েছিল পাকিস্তান’ appeared first on Sangbad Pratidin.