সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়োগের জন্য বিচারপতিদের বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি করছে কেন্দ্র। এমনটাই জানিয়ে মোদি সরকারকে (Modi government) ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। জানিয়ে দিল, শীর্ষ আদালতের কলেজিয়ামের তরফে যাঁদের নাম সুপারিশ করা হচ্ছে তাঁদের ক্ষেত্রেও গড়িমসি করছে কেন্দ্র। যা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এস কে কউল ও এ এস ওকার বেঞ্চ জানিয়েছে, এই ভাবে নামগুলিকে ঝুলিয়ে রাখাটা মানা যায় না। প্রসঙ্গত, বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পদে নিয়োগ করেছে বিচারপতিদের কলেজিয়াম। কিন্তু প্রায় ৫ সপ্তাহ পরেও কেন্দ্রের তরফে তাঁকে নিয়োগের নোটিস জারি করা হয়নি। কেবল তিনিই নন, একই ভাবে আটকে রয়েছে আরও কয়েকজন বিচারপতির নিয়োগ। আর তাতেই কেন্দ্রের উপরে রুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ভারতীয় পড়ুয়ারা পড়াশোনা শেষ করুক রাশিয়ায়, ‘বন্ধু’ ভারতকে প্রস্তাব মস্কোর]
এদিন সুপ্রিম কোর্টকে বলতে শোনা যায়, ”উপযুক্ত আইনজীবীরা বেঞ্চে না থাকলে আইন ও ন্যায়বিচারের শাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” এদিন শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের ন্যায় সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরও তা ‘ইচ্ছাকৃত ভাবেই অমান্য’ করেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, কলেজিয়ামের সুপারিশ পাওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই বিচারপতিদের নিয়োগ করতে হবে শীর্ষ আদালতের। সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেই এদিন জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগের দায়িত্ব কলেজিয়াম। কিন্তু তাদের সুপারিশ সত্ত্বেও আপত্তি জানাতে পারে কেন্দ্র। আর সেই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ কলেজিয়ামের সুপারিশ সত্ত্বেও কেন কেন্দ্রের তরফে বিলম্ব, তা বোঝা যাচ্ছে না।