সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত ন্যায় সংহিতা কার্যকরের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সোমবার সেই মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারীকে মামলা প্রত্যাহারের অনুমতিও দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন শেষ হলেই এই আইন কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।
গত বছরের শেষদিকে পুরনো ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল পাশ করায় কেন্দ্র। এই তিন আইনকে একসঙ্গে ন্যায় সংহিতা (Nyaya Sanhita) বলা হয়। এই নয়া আইন কার্যকর করা নিয়ে বিস্তর আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু সেসব আপত্তি উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হয়, ১ জুলাই ওই তিন আইন কার্যকর হবে দেশজুড়ে।
[আরও পড়ুন: রায়বরেলিতে রাহুলকে ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বিজেপির, কী করলেন কংগ্রেস প্রার্থী?]
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন বিশাল তিওয়ারি নামে এক আইনজীবী। তাঁর আবেদনে বলা হয়েছে, দণ্ড সংহিতা আইন যেসময়ে পাশ হয় তখন অধিকাংশ সাংসদ সাসপেন্ড ছিলেন। যথাযথভাবে আলোচনাও হয়নি এই আইন নিয়ে। এই আইন যদি কার্যকর হয়, তাহলে পুলিশি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তাছাড়াও এই আইনে বেশ কিছু গলদ থাকতে পারে। অসঙ্গতি থাকতে পারে আইনের নানা ধারায়। সেগুলো খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সোমবার শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রথমেই কমিটি গঠনের আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। তার পরে বেলা এম ত্রিবেদী এবং পঙ্কজ মিত্তলের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, খানিকটা দায়সারাভাবে আবেদন জানানো হয়েছিল। তাছাড়া আবেদনকারী নিজেই এই মামলায় সওয়াল করতে রাজি নন তাই এই মামলা খারিজ করা হল।