সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার (USA) মাটিতে বসে খলিস্তানি নেতা গুরুপতবন্ত সিং পান্নুনকে (Gurpatwant Singh Pannun) খুনের ছক কষার দায়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল আমেরিকা। ন্যায় বিচারের দাবিতে সেই নিখিল গুপ্তার পরিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ওই মামলা খারিজ করল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি মন্তব্য করলেন, স্পর্শকাতর বিষয়। বিদেশী আদালতের বিচারের এক্তিয়ারকে সম্মান করা উচিত।
গত ১৫ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল নিখিলের পরিবার। উল্লেখ্য, চেক প্রজাতন্ত্রের জেলে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি রয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তিনি আবেদন করেন, তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সেই সঙ্গে দিল্লিতে বসবাসকারী তাঁর পরিবারকে নিয়েও চিন্তিত নিখিল। ভারতীয় দূতাবাসে মাধ্যমে আইনি সহায়তা চেয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই দাবি বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল আদালত।
[আরও পড়ুন: ‘আমিষভোজী রাম বনবাসে শিকার করতেন’, শরদপন্থী এনসিপি নেতার মন্তব্যে বিতর্ক]
বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার পর্যবেক্ষণ, “এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়, ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় রয়েছে৷ আইনি সহায়তা মঞ্জুর না হলে সরাসরি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। যদিও আপনাদের (মামলাকারীদের) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুবার আইনজীবীর ব্যবস্থা হয়েছিল।” যদিও প্রবীণ আইনজীবী সুন্দরম দাবি করেছেন, নিজের দেশের কাছে সাহায্য চাওয়ার অধিকার আছে আবেদনকারীর। উত্তরে আদালতের তরফে বলা হয়, এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এই বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।
[আরও পড়ুন: শীঘ্রই গ্রেপ্তার কেজরিওয়াল? আশঙ্কায় AAP, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বাড়ছে নিরাপত্তা]
মাঝে এক মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছিল, আমেরিকার মাটিতে এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, নাম না করে রিপোর্টে গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের কথাই তুলে ধরা হয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই ভারতের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকা। তার পরেই নিখিলের গ্রেপ্তারির খবর মেলে। উল্লেখ্য, পান্নুনকে হত্যার ছক কষার অভিযোগে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন নিখিল। চলতি বছরের ৩০ জুন নিখিলকে গ্রেপ্তার করে চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশ। তার পর তাঁকে মার্কিন প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানেই তাঁর বিচার চলছে।