সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। সম্পর্ক, সম্মতি ও বিয়ে সংক্রান্ত আইন নিয়ে বরাবরই নানা প্রশ্ন উঠেছে। যা ন্যায় সংহিতা কার্যকর হওয়ার পরে নতুন করে আলোচনায়। ন্যায় সংহিতার (Nyaya Sanhita) ৬৯ নম্বর ধারায় উল্লিখিত হয়েছে নয়া আইনে ভুয়ো পরিচয়ে বিয়ে অথবা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনতা কিংবা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সাজা হতে পারে সর্বোচ্চ দশ বছর। হতে পারে জরিমানাও।
তবে বলা হয়েছে, এই সব ক্ষেত্রে যৌন সঙ্গমকে ধর্ষণের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। এর আগে এই ধরনের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯০ ধারা লাগু হত। বহুক্ষেত্রেই ধর্ষণের অভিযোগ আনা যেত। কিন্তু নয়া আইনে মহিলারা অভিযোগে জানাতে পারবেন ভুয়ো প্রতিশ্রুতির কারণে তাঁরা যৌন সঙ্গমে সম্মত হয়েছিলেন। সেই হিসেবে এর ফলে ব্রেকআপই বেআইনি হয়ে দাঁড়াচ্ছে, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অর্থাৎ প্রেম বিয়েতে না গড়ালে পুরুষ সঙ্গী বা প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে তিনি বিপাকে পড়তে পারেন।
[আরও পড়ুন: ‘হিংস্র তারাই, যারা…’, রাহুলের ‘হিন্দু’ মন্তব্যে ময়দানে পয়গম্বর বিতর্কে ‘বরখাস্ত’ নূপুর]
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইনজীবীদের একাংশ ন্যায় সংহিতার ৬৯ নম্বর ধারা নিয়ে চিন্তিত। তাঁদের মতে, যেহেতু এখানে অনেকগুলি 'ধূসর অঞ্চল' রয়েছে তাই মামলা লড়তে তাঁদের বেগ পেতে হবে। গাজিয়াবাদের আইনজীবী অরবিন্দ সিং বলছেন, ''উদ্দেশ্য বিষয়টা আপেক্ষিক। যদি বিয়েটা না হয় তাহলে কীভাবে কেউ প্রমাণ করতে পারবেন তাঁর উদ্দেশ্য খাঁটি ছিল? সম্পর্ক নানা কারণে ভাঙতে পারে। যদিও আমরা জানি না যে, এই ধরনের মামলাগুলি কীভাবে গড়ে উঠবে। এই জাতীয় অভিযোগ প্রমাণ করার ব্যর্থতা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। দশ বছরের সাজা পেতে পারেন অনেকে। এর ফলে তাঁর পুরো জীবন প্রভাবিত হতে পারে।''