সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অন্ধকার যুগে পা রাখল আফগানিস্তান (Afghanistan)। গোটা দেশ এখন তালিবানের (Taliban) দখলে। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মাঝেই পরবর্তী শাসক ঠিক করে ফেলেছে জঙ্গিগোষ্ঠী। এই পরিস্থিতি আঁচ করা গিয়েছিল আগেই। রবিবার দুপুর নাগাদ আফগান সরকারের পতন ঘটেই গেল। এই পরিস্থিতিতে আফগান পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াল বামপন্থী ছাত্র সংসদ এসএফআই (SFI)। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) ছাত্র সংগঠন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আফগান পড়ুয়াদের সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। পাসপোর্ট-ভিসা সংক্রান্ত জট কাটিয়ে দ্রুত তাদের ক্যাম্পাসে ফেরানো হোক, চিঠিতে তা লিখেছেন JNUSU-র প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ ও ছাত্র সংসদের অন্যান্য সদস্যরা।
জেএনইউ-র ডিন এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে ছাত্র সংসদের আবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আফগান ছাত্রছাত্রীরা আগেও বেশ কয়েকবার ক্যাম্পাসে ফিরতে চেয়ে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়নি, কোনও উত্তরই মেলেনি। তাই তারা এদেশে ফিরতে পারেননি। কিন্তু এই মুহূর্তে সে দেশে চরম অরাজক পরিবেশ। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পরিবেশই নেই। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য ছাড়া কীভাবে জেএনইউ-র আফগান পড়ুয়ারা নিজেদের শিক্ষা সম্পূর্ণ করবে? এই প্রশ্ন তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বের কথা মনে করিয়েছেন ঐশীরা। তাদের পাশাপাশি এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সংগঠনের তরফেও আফগান পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
[আরও পডুন: ‘ঠিকঠাক বিতর্কই হচ্ছে না’, Parliament অধিবেশন নিয়ে হতাশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি]
এদিকে ভারতের বাম ছাত্র সংগঠন যখন সংকটের মুহূর্তে আফগানিস্তানের শিক্ষার্থীদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, সেসময় ঠিক উলটো ঘটনা ব্রিটেনে (UK)। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত আফগান পড়ুয়াদের স্কলারশিপ বাতিল করা হল। ব্রিটেনে Chevening Scholarship-এর মাধ্যমে বিদেশি পড়ুয়ারা সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা চালাতে পারে। এই স্কলারশিপ বেশ সম্মানজনক এবং কঠিন প্রতিযোগিতায় সফল হলে তবেই মেলে বৃত্তি। এ বছর ৩৫ জন আফগান পড়ুয়া এই স্কলারশিপ পেয়েছেন, যাদের মধ্যে অর্ধেকই মহিলা। কিন্তু এবার তারা অ্যাকাডেমিক সেশনে যোগ দেওয়ার জন্য ইংল্যান্ডে যেতে পারবে না। কাবুলের দূতাবাস মারফৎ এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।