সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Election) ঐক্যবদ্ধভাবে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বিরোধী দলগুলি। গত ১৫ জুন বিরোধী দলগুলি প্রার্থী নির্বাচন করতে বৈঠকে বসেছিল। সেখানে শরদ পাওয়ারকে (Sharad Pawar) রাষ্ট্রপতি পদে লড়তে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা। এখনও সর্বসম্মত ভাবে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। এহেন পরিস্থিতিতেই বিরোধী ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল শিব সেনা (Shiv Sena)। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেই যদি সহমত হয়ে প্রার্থী না দেওয়া যায়, তাহলে লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মধ্যে একতা থাকবে কী করে?
শিব সেনার মুখপত্রে বলা হয়েছে, যদি পাওয়ার না লড়েন, তাহলে তাঁর বিকল্প কে? ছয় মাস আগেই এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা উচিত ছিল। বিরোধীরা (Opposition Alliance) যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সত্যিই সচেতন, সেই কথাও বোঝা যেত যদি আগে থেকেই প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করা হত। এই ঘটনার ফলে সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্ন জাগবে। যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেই প্রার্থী দিতে সমস্যা হয়, তাহলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী দেওয়া হবে কি করে? সেই সঙ্গে দলীয় মুখপত্রে বলা হয়েছে, যদি বিরোধীরা সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রচুর দাবিদার থাকবে। তখন সমস্যা বাড়বে।
[আরও পড়ুন: কোভিড আক্রান্ত সোনিয়া, পাশাপাশি শ্বাসনালীতেও সংক্রমণ, চলছে চিকিৎসা]
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামী ২১ জুন বেলা আড়াইটেয় ফের বৈঠকে বসতে চলেছে বিরোধী দলগুলি। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন শরদ পাওয়ার। সম্ভবত দিল্লির এই বৈঠকেই রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিরোধীরা। ১৭টি দলের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে সম্ভবত রাম নাথ কোভিন্দকেই (Ram Nath Kovind) ফের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ভাবা হচ্ছে। আগামী বুধবার থেকেই রাষ্ট্রপতি পদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
বিরোধীদের তরফে প্রার্থী হিসাবে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বা ফারুখ আবদুল্লাহকে মনোনীত করা হতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি পদে লড়ার মতো ব্যক্তিত্ব নেই তাঁদের, এমনটাই দাবি করা হয়েছে শিব সেনার মুখপত্রে। প্রসঙ্গত, বিরোধীদের বৈঠকে উপস্থিত ছিল শিব সেনাও।