সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বুলন্দশহর। এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে তিরিশ বার গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মহম্মদ সরফরাজ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ শাদাব। প্রায় দু’ মাস আগে শাদাবের ভাই খুন (Murder) করেছিল সরফরাজের জামাইবাবুকে। মহম্মদ ইরফান অর্থাৎ সরফরাজের জামাইবাবুর দেহ তিরিশ টুকরো করে ফেলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় তিনজন আততায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুলন্দশহরের এসএসপি সন্তোষ সিং জানিয়েছেন, “দিল্লি থেকে সুপারি কিলার (Shooter) আনিয়ে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল সরফরাজ। জামাইবাবুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই এমন কাজ করেছে সে।” পুলিশ সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, শাদাবের ভাই রাগিব খুন করেছিল মহম্মদ ইরফানকে।
[আরও পড়ুন: প্রশাসনিক নীতি নির্ধারণে অভিজ্ঞতার সুফল, দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার]
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্র জানিয়েছে, মার্চ মাসে খুন হয়েছিলেন মহম্মদ ইরফান। তাঁর দেহ তিরিশ টুকরো করে দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ব্যবসায় পার্টনারদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিবাদের ফলেই খুন হয়েছিলেন তিনি। একটি ব্যাগে ভরে তাঁর দেহ কবর দেওয়া হয়। পুলিশ বুলন্দশহর-হাপুর টোল প্লাজা এলাকা থেকে সেই ব্যাগ উদ্ধার করে। পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে রাগিব। এছাড়াও খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে রাগিবের ভাই আকিব এবং বন্ধু মাজিদ আলিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ইরফানের খুনে অভিযুক্তকে সাহায্য করেছিল চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ শাদাব। সেই কারণেই প্রতিশোধ নিতে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে সরফরাজ।
বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার তিনজন আততায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাদের নাম মহম্মদ সমীর, ওয়াসিদ আলি এবং মহম্মদ আদিল। এদের দিল্লি থেকে সুপারি দিয়ে আনা হয়েছিল। তাদের থেকে বহু কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। খুনের সময় যে গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত সরফরাজ এবং তার এক ভাই এখনও পলাতক।