সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: SIR-এর কাজের চাপে মহা দুর্দশায় বিএলও-রা। কাজের চাপে কেউ অসুস্থ হচ্ছেন। কোথাও কোথাও আত্মহত্যারও খবর আসছে। যা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই সব দুর্দশার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নয়, বরং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকেই ঘুরিয়ে দায়ী করছে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালত বলছে, যে পরিমাণ কর্মী SIR-এর কাজ করছেন, সেটার চেয়ে অনেক বেশি কর্মী নিয়োগ করা যেত।
বিএলও-দের কাজের চাপ নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল তামিলনাড়ুর বিজয়ের দল টিভিকে। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশন বিএলও-দের উপর অমানবিক চাপ দিচ্ছে। কমিশন জোর করে বিএলও-দের উপরে কাজ চাপাচ্ছে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩২ নম্বর ধারার ভয় দেখানো হচ্ছে। ওই আইন অনুযায়ী কোনও বিএলও বা নির্বাচনী আধিকারিকের কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়লে দু'বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে। সেই ভয়েই কাজের চাপে অসুস্থ হচ্ছেন বিএলওরা।
ওই মামলায় বিএলওদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, কোনও বিএলও বৈধ কারণ দেখিয়ে কাজ থেকে অব্যাহতি চাইলে, বিশেষত কেউ অসুস্থ হলে, তাঁকে ছুটি দেওয়া হোক। দরকারে তাঁর বদলে অন্য কাউকে বিএলও নিয়োগ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, "যদি ভোটের কাজে অতিরিক্ত কর্মীর প্রয়োজন হয়, তাহলে রাজ্য সরকার সেই কর্মী জোগান দিতে বাধ্য।" ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, যেখানে ১০ হাজার কর্মীকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে, সেখানে আরও ৩০ হাজার কর্মী নিয়োগ করা যায়।
এই মুহূর্তে ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআরের কাজ চলছে। সব রাজ্যেই কমবেশি বিএলও-দের কাজের চাপ নিয়ে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশন বিএলও-র ঘাটতি নিয়ে কোনও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেনি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কমিশন সহযোগী বিএলও নিয়োগের দাবি জানিয়েছিল কমিশন। যা মেনে নেওয়া হয়েছে বলেই রাজ্য সরকারি সূত্রের খবর।
