সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিস্তর টানাপোড়েন, জল্পনা, বিদ্রোহ। এত কিছুর পরও গান্ধী পরিবারের বাইরে বেরতে পারল না কংগ্রেস (Congress)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, আগামী লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত দলের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীই (Sonia Gandhi) কংগ্রেস সভানেত্রীর পদে থাকবেন। অর্থাৎ চব্বিশে মহা শক্তিশালী মোদির বিরুদ্ধে লড়তে অসুস্থ সোনিয়া গান্ধীর উপরই ভরসা রাখছে কংগ্রেস। তবে লোকসভার আগে দলের সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল করা হবে।
উনিশের নির্বাচনে ভরাডুবির দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তারপর থেকেই স্থায়ী সভাপতি নেই কংগ্রেসের। রাহুলকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তিনি নিজের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করেননি। সূত্রের খবর, চব্বিশের আগে রাহুলের কংগ্রেস সভাপতি পদে বসার সম্ভাবনা কম। দলের কোনও পদেই তিনি থাকবেন না। তবে, আড়াল থেকে দলের সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই চলবে। রাহুলের পরিবর্ত হিসাবে বছর দুই আগে সোনিয়া গান্ধীকে অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী পদে বসায় কংগ্রেস। এখনও তিনিই শতাব্দীপ্রাচীন দলটির শীর্ষপদে আছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, শীঘ্রই সোনিয়াকেই স্থায়ী সভাপতি পদে নিয়োগ করতে পারে দল। তবে, সাংগঠনিক রদবদলের পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভূমিকা কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: মুসলিম এলাকায় জন্ম নিয়ন্ত্রণে ‘Population Army’ তৈরি করতে চলেছে Assam]
কংগ্রেস সূত্রের খবর, শীর্ষপদে পরিবর্তন না হলেও দলের সাংগঠনিক স্তরে ব্যাপক রদবদল হবে। একপ্রকার খোলনলচে পালটে যাবে। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, সভাপতি এবং রাহুল গান্ধীকে সাহায্য করার জন্য দেশের চার প্রান্ত থেকে অন্তত চারজন কার্যকারী সভাপতি নিয়োগ করা হবে। মূলত দলের বিদ্রোহী শিবির তথা তরুণ ব্রিগেডের মধ্যে থেকে এই চারজনকে বেছে নেওয়া হবে। দলের সহ-সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তথা বিদ্রোহী শিবিরের নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। দৌড়ে আছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা তরুণ তুর্কি শচীন পাইলট (Sachin Pilot )। কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি হতে পারেন কেরলের রমেশ চেন্নিথালা, মহারাষ্ট্রের মুকুল ওয়াসনিক এবং হরিয়ানার কুমারী শৈলজা। এছাড়াও দলের সংগঠনের সব স্তরে বড়সড় রদবদল চান রাহুল গান্ধী। সেক্ষেত্রে সর্বস্তরেই তরুণ নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে।