সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক মিনিট আগেও দিব্যি হেসে খেলে বেড়ানো তরতাজা যুবকের হঠাৎ মৃত্যু! অতিমারির পর গত কয়েক বছরে দেশের নানা প্রান্তে এমন অসংখ্য ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, করোনা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরেই এই ঘটনা ঘটছে। যদিও সেই ধরনের ঘটনার জন্য ভ্যাকসিনকে দায়ী করতে নারাজ সরকার। আইসিএমআরের এক রিপোর্ট তুলে ধরে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা জানালেন, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং ভ্যাকসিনের জেরে করোনার ঝুঁকি কমেছে।
আইসিএমআর ও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমিয়োলজির সমীক্ষা রিপোর্ট মঙ্গলবার সংসদে পেশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। যেখানে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যারা সম্পূর্ণরূপে সুস্থ এবং ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে হঠাৎ মৃত্যু হয়। ১৯ রাজ্যের ৪৭টি হাসপাতাল থেকে সেই সব ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গবেষণা চলাকালীন ৭২৯ জনের হঠাৎ মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ২৯১৬ জন মানুষকে বাঁচানো সম্ভব হয়। এই রিপোর্ট তুলে ধরেই দাবি করা হয়েছে, করোনা ভ্যাকসিনের কারণে করোনার ঝুঁকি শুধু কমেছে তাই নয়। হঠাৎ মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক কমেছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, ভ্যাকসিনে মৃত্যুর ঝুঁকি যদি কমে তাহলে মৃত্যুর কারণ কী? এ বিষয়ে গবেষকদের দাবি, এই ধরনের মৃত্যুর তাঁদেরই হচ্ছে যাঁদের পরিবারে এই ধরনের 'মেডিক্যাল হিস্ট্রি' রয়েছে। কিংবা মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা আগে মদ্যপান করেছিলেন বা কোনও নেশার দ্রব্য পান করেছিলেন। পাশাপাশি মৃত্যু ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রবল শারীরিক শ্রমও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনা পরবর্তী সময়ে এই ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি দেশে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। যদিও শীর্ষ আদালতে সে দাবি খারিজ হয়ে যায়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল, দেশে আতঙ্ক ছড়াতে এই ধরনের মামলা দায়ের করা হচ্ছে।