বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: রাজ্য সভাপতির চেয়ারে নিজের ঘনিষ্ঠ কাউকে বসাতে চেষ্টার কসুর রাখছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের ফাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দীর্ঘক্ষণ দু‘জনের কথা হয়।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
সুকান্ত মজুমদার পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে দলের একাংশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে সুকান্ত মজুমদারের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে শীঘ্রই। পরবর্তী সভাপতির নেতৃত্বেই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির।
দিল্লির ভোটে বাংলার একাধিক বিজেপি নেতা প্রচারে এসে ঘাম ঝরাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে শুভেন্দু ছাড়াও রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো, রথীন বোস। প্রচারের মাঝে এঁদের কেউই শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেননি। কিন্তু মঙ্গলবার দিল্লিতে এসেই পরদিনই শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী দলনেতা। সূত্রের খবর, শাহর কাছে নিজের পছন্দের তিনজনের নাম দেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
তবে সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে অমিত শাহ শুভেন্দুকে তুলোধোনা করেন বলে জানা গিয়েছে। কেন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো যায়নি কৈফিয়ত চান। শুভেন্দু অবশ্য শাহী তোপের মুখে অজুহাত দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর পাশাপাশি দলের মণ্ডল ও জেলাস্তরে নেতাদের নিষ্কৃয়তাকে দায়ী করেন। গ্রামাঞ্চলে তৃণমূলের আতঙ্কে বহু সমর্থক বা কর্মী এবার সদস্যতা নিতে অস্বীকার করে বলে শাহকে জানান বিরোধী দলনেতা।