সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তবে কি সত্যিই আগেরবার নিশানা ভুল হয়েছিল? সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) এমএলসি পুষ্পরাজ জৈনের বাড়িতে আয়কর হানার পর সেই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে। আরও একবার বিজেপি তথা কেন্দ্র সরকারকে একযোগে আক্রমণ শানাচ্ছে সমাজবাদী পার্টি-সহ বিরোধীরা।
দিনকয়েক আগে কানপুরের গুটখা এবং সুগন্ধী ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের (Piyush Jain) বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। পীযূষের বাড়ি এবং বিভিন্ন ঠিকানায় হানা দিয়ে মোট ১৯৬ কোটি টাকা নগদ এবং ২৩ কেজি সোনা উদ্ধার করে আয়কর বিভাগ (IT) এবং ইডি (ED)। পীযূষের বাড়ির সেই রত্নভাণ্ডারের ছবি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আপাতত পীযূষ শ্রীঘরে। কিন্তু আসল বিতর্কের শুরু সেখান থেকেই।
[আরও পড়ুন: বাড়বে জামা-জুতো-অনলাইনে খাবার কেনার খরচ? আশঙ্কার মধ্যেই মিলল স্বস্তির খবর]
পীযূষের বাড়ি থেকে বিপুল অর্থভাণ্ডার উদ্ধার হতেই তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনীতি। সমাজবাদী পার্টি এবং বিজেপি দাবি করতে থাকে পীযূষ জৈন আসলে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে যুক্ত। বিধানসভা ভোটে সপাকে সাহায্য করতেই ওই ব্যাপক পরিমাণ টাকা বাড়িতে জমিয়ে রেখেছিল সে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তো বটেই খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) কানপুরে ‘দুর্নীতির সুগন্ধ’ পাচ্ছিলেন। কিন্তু এরপরই পালটা আসরে নামেন অখিলেশ যাদব। তিনি দাবি করেন, মোদি সরকারের ‘বন্ধু’ আয়কর বিভাগ নিশানা ভুল করেছে। পুস্পরাজ জৈনের (Pushparaj Jain) বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে পীযুষ জৈনের বাড়িতে হানা দিয়ে ফেলেছে। এই পীযুষ জৈন আসলে বিজেপির (BJP) লোক।
[আরও পড়ুন: Omicron: দেশে ওমিক্রনের দ্বিতীয় বলি রাজস্থানের বৃদ্ধ, করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও নয়া স্ট্রেনে মৃত্যু]
অখিলেশের (Akhilesh Yadav) সেই অভিযোগই কার্যত স্বীকৃতি পেল শুক্রবার। এদিন সমাজবাদী পার্টির বিধান পরিষদের সদস্য পুষ্পরাজ জৈনের গোটা পঞ্চাশেক ঠিকানায় হানা দিল আয়কর বিভাগ। এই পুষ্পরাজ যাদবই কিছুদিন আগে বাজারে এনেছিলেন সমাজবাদী আতর। যে আতরের বিজ্ঞাপন করেছিলেন অখিলেশ নিজেই। পুষ্পরাজের বাড়িতে আয়কর হানার এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। দলের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, “আগেরবারের বিরাট ব্যর্থতার পর অবশেষে বিজেপির সত্যিকারের বন্ধু আয়কর বিভাগ এবার সমাজবাদী পার্টির এমএলসি পুষ্পরাজ জৈন-সহ কনৌজের অন্যান্য সুগন্ধী ব্যবসায়ীদের বাড়িতে তল্লাশি চালাল। গোটা উত্তরপ্রদেশ দেখছে কীভাবে বিজেপি খোলাখুলি কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করছে।”