shono
Advertisement

গুজরাট দাঙ্গার পর মোদি সরকার ফেলতে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিস্তা! দাবি তদন্তকারীদের

অভিযোগ, বিরোধীদের 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের' অংশ ছিলেন ধৃত সমাজকর্মী।
Posted: 12:39 PM Jul 16, 2022Updated: 02:37 PM Jul 16, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে (Teesta Setalvad) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গত মাসে। সুপ্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বিরুদ্ধে গুজরাট দাঙ্গা (Gujarat riot) মামলা নিয়ে পুনরায় তদন্ত করার আরজি হওয়ার পরদিনই আটক করা হয় তাঁকে। আমেদাবাদের দায়রা আদালতে তিস্তার বিরুদ্ধে যে হলফনামা পেশ করা হয়েছিল তাতে দাবি করা হয়েছে, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার পর রাজ্যের বিজেপি সরকারকে ফেলতে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ধৃত সমাজকর্মীকে। শুধু টাকাই নয়, আরও নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় গুজরাটের বিজেপি সরকারকে আসনচ্যুত করতে যে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ করেছিল বিরোধীরা, তারই একটা অংশ ছিলেন তিস্তা, অভিযোগ এমনই।

Advertisement

সেই সঙ্গে হলফনামায় আরও দাবি করা হয়েছে, তিস্তা দিল্লিতে গিয়ে সেই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা দল কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। সেখানেই আলোচনা হয়েছিল, কোন কোন বিজেপি নেতার নাম এই দাঙ্গা মামলায় থাকবে। পাশাপাশি মামলার আরেক সাক্ষীর দাবি, ২০০৬ সালে তিস্তা কংগ্রেসের কাছে আরজি জানিয়েছিলেন, তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করার জন্য। তাঁর বক্তব্য ছিল, শাবানা আজমি কিংবা জাভেদ আখতারের মতো তাঁকেও রাজ্যসভার সদস্য করা হোক।

[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীর শিবলিঙ্গে প্রার্থনার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কৃষ্ণভক্ত সংগঠন]

তিস্তার বিরুদ্ধে আনা এহেন অভিযোগ ওঠার পরই বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, আহমেদ প্যাটেলের নাম উঠে এলেও তিনি একটি নাম মাত্র। এর পিছনে আসল কাণ্ডারি ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীই। এমন দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, তদন্তকারী দল তথা সিট পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এমন কথা বলছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ”সিট তাদের রাজনৈতিক প্রভুদের কথা নাচছে আর সেটাই বলছে যেটা তাদের বলতে বলা হচ্ছে। আমরা জানি, এর আগে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ক্লিন চিট’ দেওয়ার কারণে কীভাবে এক সিট প্রধানকে উপহারস্বরূপ কূটনৈতিক সফরে পাঠানো হয়েছিল।” সব মিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস-বিজেপি বচসা তুঙ্গে। 

বলে রাখা ভাল, শুক্রবার ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানে তিস্তার আইনজীবী তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করলেও তদন্তকারীদের দাবি ছিল, এখনও তিস্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। এই অবস্থায় তাঁকে মুক্তি দিলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন কিংবা প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করতে পারেন। আদালত তিস্তার জামিনের বিষয়ে এখনও কোনও রায় দেয়নি। সোমবার পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট দাঙ্গা (Gujarat Riots) মামলায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্ত করার আরজি খারিজ করে দেওয়ার সময় যারা ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে ‘উসকানি’ দিচ্ছিল তাদের ভর্ৎসনা করে। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ”আমি মন দিয়ে রায়ের কপি পড়েছি। সেখানে পরিষ্কার তিস্তা শেতলবাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উনি যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি চালাতেন সেটি পুলিশকে ভুয়ো তথ্য সরবরাহ করেছিল।” এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত সমাজকর্মীকে।

[আরও পড়ুন: পাক ‘গুপ্তচর’-এর সঙ্গে একমঞ্চে, ছবি দেখিয়ে দাবি বিজেপির, অস্বীকার আনসারির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement