সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিদি-ভাইয়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। দলের সঙ্গে বিজেপির যোগ নিয়ে প্রকাশ্যে কলহ। মহাসংকটে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি! নাম না করে একপ্রকার সরাসরিই ভাই কেটিআরকে বিঁধলেন দিদি কে কবিতা। অভিযোগ করলেন, তিনি যখন জেলে ছিলেন তখন দলকে বিজেপির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
বছর দুই আগে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের কাছে পরাস্ত হয় বিআরএস। তারপর থেকেই কার্যত অন্তরালে কেসিআর। এদিকে রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর ভাঙন শুরু হয় দলেও। কেসিআরের সক্রিয়তার অভাবে দলের ভার বকলমে চলে যায় তাঁর ছেলে কেটি রামা রাওয়ের হাতে। এদিকে মেয়ে কে কবিতাও দলের অন্যতম মুখ। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের অন্দরে কানাঘুষো দলের কর্তৃত্ব নিয়ে দিদি-ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এবার সেই দ্বন্দ্ব কার্যত প্রকাশ্যে চলে এল। কবিতা দাবি করলেন, তিনি যখন জেলে তখন দলকে বিজেপির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কবিতার দাবি, "বিআরএস-কে বিজেপির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমি এটা হতে দেব না।" তিনি বলেন, "যে বিজেপি তেলেঙ্গানাকে লুট করার চেষ্টা করছে, সেই বিজেপিকে নিয়ন্ত্রণ না করে উলটে গোটা দলটাকেই বিজেপির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমি যখন জেলে ছিলাম আমার কাছে বিআরএসকে বিজেপির সঙ্গে মিলয়ে দেওয়ার প্রস্তাব আসে। আমি না বলেছিলাম। কিন্তু আমি জানতে চাই, দলে কারা আছে যারা বিজেপির হাতে বিআরএসকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে?"
সম্প্রতি দলের একাংশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে বাবা তথা বিআরএস প্রধান চন্দ্রশেখরকে চিঠি লেখেন কবিতা। কিন্তু সেই চিঠি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সেটার নেপথ্যেও ভাইয়ের হাত দেখছেন কবিতা। তিনি বলছেন, "কেসিআর আমাদের কাছে ঈশ্বরের মতো। কিন্তু তাঁর আশেপাশে অনেক দৈত্য তাঁকে ঘিরে রেখেছে।" কবিতার প্রশ্ন, এখন যিনি দল চালাচ্ছেন, তাঁর অ্যাকশন প্ল্যান কোথায়? তৃণমূল স্তরে কাজটা হচ্ছে কোথায়? রাজনৈতিক মহলের ধারণা তেলেঙ্গানায় দাদা-বোনের দ্বন্দ্ব যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে আগামী দিনে বিআরএস আড়াআড়ি ভাঙলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
