সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার থেকে প্যান কার্ডে যুক্ত হবে ডায়নামিক কিউআর কোড। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। নয়া ঘোষণায় বিভ্রান্তির মাঝেই মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রকের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল। যেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে যাঁদের কাছে প্যান কার্ড রয়েছে তাঁদের নতুন করে আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই। দরকার পড়বে না প্যান কার্ড নম্বর বদলের।
কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল, প্যান কার্ডে কিউআর কোড থাকার ফলে আয়করদাতাদের আর্থিক লেনদেন অনেক সহজ এবং স্বচ্ছ হয়ে উঠবে। পাশাপাশি লেনদেনের গতি বাড়বে। আজকের দিনে সবচেয়ে বড় বিষয় হল ডিজিয়াল জালিয়াতি। সেই দিক থেকেও অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবে কিউআর কোড যুক্ত নতুন প্যান কার্ড। সাধারণ মানুষের আর্থিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আরও উন্নত হবে। যদিও এই ঘোষণায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে সবাইকে কি নতুন প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে? পুরনো প্যান কার্ড বদলে কি নতুন প্যান কার্ড আসবে? এবং যারা ঠিকানা বদল করেছেন নতুন প্যান কার্ড কি তবে পুরানো ঠিকানায় যাবে?
এই সব জল্পনার মাঝেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁদের কাছে প্যান রয়েছে নতুন কার্ডের জন্য তাদের আবেদনের প্রয়োজন নেই। অ্যাকাউন্ট নম্বরও বদলের দরকার নেই। তবে প্যানে নাম, ঠিকানা, ই-মেল, মোবাইল নম্বর বদলের প্রয়োজন হলে নতুন প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। সে জন্য আধুনিক প্যান কার্ড ব্যবস্থা বা ‘প্যান ২.০’ চালু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেউ যদি আগেই সংশোধনের আবেদন করতে চান সেটাও করতে পারেন অনলাইনে। এর জন্য আলাদা কোনও খরচ লাগবে না। অন্য কোনও সংশোধনের প্রয়োজন হলেও নির্দিষ্ট ফি দিয়ে অনলাইনে আবেদনকরা যাবে। শুধু তাই নয়, জানানো হয়েছে নতুন না ঠিকানা দিয়ে সংশোধন করলে পুরানো ঠিকানায় কার্ড যাবে না।
নয়া এই প্যান কার্ড প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বক্তব্য, প্যান কার্ডে কিউআর কোড চালু হয়েছে ২০১৭-১৮ সাল থেকে। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় ডায়নামিক কিউআর কোড থাকবে, যাতে সংশোধিত তথ্যও দেখা যাবে। যাঁদের কাছে কিউআর কোড-হীন প্যান কার্ড আছে, তাঁরা নতুন কার্ডের জন্য আবেদন করতেই পারেন। তা এখন বা ‘প্যান ২.০’ চালু হওয়ার পরেও করা যাবে। কিউআর কোড থাকলে প্যান ও প্যান কার্ডের তথ্য, যেমন ছবি, সই, নাম, বাবা বা মায়ের নাম, জন্ম তারিখ যাচাই করতে সুবিধা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেটেই বলা হয়েছিল, সমস্ত ব্যবসায়ী সংস্থাকে প্যান কার্ড নিতে হবে। ওই পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েই সমস্ত ব্যবসায়ী সংস্থাকে চিহ্নিত করা হবে। শুধুমাত্র প্যান-ই এ জন্য ব্যবহার করা হবে। এখন প্যান সংক্রান্ত পরিষেবার জন্য বিভিন্ন পোর্টাল রয়েছে। ‘প্যান ২.০’ চালু হলে এই সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্মের জন্য একটিই পোর্টাল চালু হবে। পোর্টাল চালু হলে তার ওয়েব-ঠিকানা জানানো হবে। নয়া প্যান ২.০ প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ১,৪৩৪ কোটি টাকা।