সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অবৈধভাবে’ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন আইন, ২০০৩-এর ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ‘অবৈধভাবে’ ইডি আধিকারিকের মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্র, হাতিয়ার করা হয়েছে আদালতের এক অতীত নির্দেশকেও। এমনটাই দাবি করল তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের (Saket Gokhale) দাবি করেছেন, ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর সঞ্জয় মিশ্রর (Sanjay Kumar Mishra) কার্যকালের নতুন মেয়াদ শুরু হয়। সেই সময় তিনি ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বার্ষিক স্থাবর সম্পত্তির হিসাব ওয়েবসাইটে আপলোড করেননি। নিয়ম অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা করার কথা থাকলেও সেই সময়ও তিনি তথ্য দেননি। ডিসেম্বরে হঠাৎ করেই সরকারি ওয়েবসাইটে সেই তথ্য দেখা গেলে তার ফরেনসিক পরীক্ষা করান সাকেত। তাতে প্রমাণ হয়েছে, ২০২১-এর ৩ ডিসেম্বর তিনি তা করেছেন। সব তথ্য খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আদালতকে অনুরোধ করেছেন তৃণমূল নেতা সাকেত।
[আরও পড়ুন: জাতীয় সংগীতের অবমাননা, শুভেন্দু-সহ ৫ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের]
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। ওই অর্ডিন্যান্সে জানানো হয়, সিবিআই (CBI) এবং ইডি প্রধানদের কার্যকালের মেয়াদ ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করা হচ্ছে। এরপর প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, RAW প্রধান ও আইবি (IB) প্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়েও অধ্যাদেশ আনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধিতা করে মাঠে নামে কংগ্রেস (Congress)। দেশের বৃহত্তম বিরোধী দলের দাবি, এভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে আরও বেশি করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে সরকার। সংসদে ও সংসদের বাইরে এর প্রতিবাদ করেছেন কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ অন্য বিরোধীরা। দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: মিউজিক সিস্টেমের আড়ালে মাদক পাচার! এসটিএফের জালে দম্পতি]
এই বিষয়ে সেই সময়েই শীর্ষ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep singh Surjewala)। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রও (Mahua Moitra)। মহুয়া দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই অধ্যাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী৷ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ফের সেই প্রসঙ্গই তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে।