সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে একাধিক ইস্যু, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে (Parliament Winter Session) সেসব কীভাবে কাজে লাগানো হবে? সেই কৌশল ঠিক করতে সোমবার সকালেই বৈঠকে বসেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা সেই বৈঠকে কমবেশি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা সকলে থাকলেও গরহাজির তৃণমূল। আজ বিকেলেই দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। তা নিয়ে ব্যস্ত দলের সকলে। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন দুজনেই বিকেলে কালীঘাটের বৈঠকে থাকবেন। সম্ভবত সেই কারণেই তাঁরা সকালে দিল্লির বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।
এদিন সকালে মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে বিরোধী INDIA জোটের বৈঠকে হাজির ছিলেন মোট ১৩ দলের প্রতিনিধি। ছিলেন প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের ৬ প্রতিনিধিও। তবে এই বৈঠকে ছিলেন না রাহুল গান্ধী। বৈঠক শেষে খাড়গে জানান, আদানির বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগে আমেরিকায় যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, সেই ইস্যুকে সামনে রেখেই সংসদের দুই কক্ষে সরকার বিরোধী অস্ত্রে শান দেবেন বিরোধীরা। এছাড়া মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসা ও ওয়াকফ বিল নিয়েও আলোচনার দাবি তোলা হবে। তাতে অধিবেশন উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা।
এদিকে, সোমবার বিকেলে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও সংসদ অধিবেশনে দলের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে। দলনেত্রী তথা চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদদের নির্দেশ দিতে পারেন, কোন কৌশলে সংসদের উভয় কক্ষে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে চাপে ফেলতে সক্রিয় হবেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। এর পর দিল্লি গিয়ে সুদীপ, ডেরেকরা নির্দিষ্ট ইস্যুতে অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে পারেন। অন্যান্য বিরোধীদলের মতো আদানি ও মণিপুর ইস্যুতে সরব হতে পারে তৃণমূলও। অন্যদিকে, বাংলার বিজেপি সাংসদদের হাতিয়ার হতে চলেছে আর জি কর ইস্যু। ঘটনা পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে এনিয়ে শোরগোল ফেলতে তৎপর সুকান্ত মজুমদাররা।