সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৌরী লঙ্কেশের পর শান্তনু ভৌমিক। ফের পেশার কারণে খুন সাংবাদিক। প্রথমজন নিজের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মতামত জানিয়ে বিরাগভাজন হন। তার জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। দ্বিতীয়জন খবর সংগ্রহ করতে দুষ্কৃীতের ধারাল অস্ত্রের কোপে প্রাণ হারান। বুধবারই মৃত্যু হয় ওই তরুণ সাংবাদিকের। তারপরই তীব্র প্রতিবাদ দেখা যায় গোটা ত্রিপুরা জুড়ে।
[ ‘প্রেমিক-প্রেমিকারা বড়ই অশ্লীল, তাই এত ধর্ষণ হয়’ ]
ত্রিপুরার মান্দাই অঞ্চলে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সে খবরই কভার করতে গিয়েছিলেন তরুণ সাংবাদিক শান্তনু। পেশার অনুশীলিত অভ্যাসই তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল খবরের গভীরে। কিন্তু প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারলেন না। বদলে উদ্ধার হল তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ। ইনডিজিনিয়াস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা বা আইপিএফটি এবং ত্রিপুরা উপজাতি গণমুক্তি পরিষদ বা টিইউজিএমপি-এই দুই দলের মধ্যেই প্রবল সংঘর্ষ চলছিল। ত্রিপুরার নিজস্ব সমস্যা ও রাজনৈতিক বিরোধিতাই সংঘর্ষের মূল। আর সে খবর সংগ্রহ করতে গিয়েই বলি হতে হল সাংবাদিককে। অভিযোগ, আইপিএফটি-র সদস্যদের হাতেই খুন হয়েছেন শান্তনু। যদিও এখনও এ ব্যাপারে কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক কারণেই যে তরুণ এই সাংবাদিকের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হল, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আর তাই প্রতিবাদে উত্তাল গোটা ত্রিপুরা।
[ হেনস্তা করছে যুবক, ব্যবস্থা চেয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুসলিম তরুণীর ]
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফেও পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন সাংবাদিকরা। সংবাদমাধ্যম ও কর্মীদের উপর যে আক্রমণ নেমে এসেছে তার তীব্র নিন্দা করা হয়। ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। শান্তনুর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে পথে নেমেছেন সাংবাদিকরা। কলকাতা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকেও ঘটনার কড়া নিন্দা করা হয়। উত্তেজনার কারণে ত্রিপুরার দুই জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে আগরতলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
The post ত্রিপুরায় সাংবাদিক খুনের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনা appeared first on Sangbad Pratidin.